২০০৫ সালে উত্তরপ্রদেশের বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল খুনে মূল অভিযুক্ত আতিক আহমেদকে দোষী সাব্যস্ত করল প্রয়াগরাজ আদালত। আতিকের সঙ্গেই দোষীদের তালিকায় রয়েছে দীনেশ পাসি এবং খান শওকত হানিফও। এই তিন জনেরই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্তদেশ হয়েছে। ওই মামলাতেই আতিকের ভাই আশরাফ সহ সাত জনকে বেকসুর খালাস বলেও রায়ে জানিয়েছে আদালত। জানিয়েছেন, সরকারি আইনজীবী সুশীল বৈশ।
বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল খুনে প্রধান সাক্ষী রাজুর বন্ধু উমেশ পাল সম্প্রতি খুন হন। এরপর উমেশকে খুনে অভিযুক্ত আরবাজ এবং উসমানকে এনকাউন্টারে নিকেশ করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তারপর থেকেই জেল বসেই ভয় পেয়েছিলেন রাজু পাল খুনে মূল অভিযুক্ত আতিক আহমেদ। এককালের এমনকী মামলার সময় জেল থেকে বেরিয়ে আদালতে যেতও চরম ভীত ছিলেন তিনি। আরবাজ এবং উসমানের মত তাঁকেও এনকাউন্টারে মেরে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর। ভিডিও কনফারেন্সে মামলার শুনানির দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। বাড়তি সুরক্ষারও আবেদন করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। তবে শীর্ষ আদালত সেই আর্জি গ্রহণ করতেই অস্বীকার করে। সুপ্রিম কোর্ট আতিক আহমেদের আইনজীবীকে মক্কেলের আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে আবেদনের নির্দেশ দেয়।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে আতিকের আবেদন নিয়ে তাঁর আইনজীবী বলেছিলেন যে, 'আমার মক্কেলের জীবন চরম শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। যদি এই আদালত আবেদনকারীর সুরক্ষা অস্বীকার করে, তবে এর অর্থ হবে তাঁর জন্য মৃত্যু পরোয়ানা।' পাল্টা দেশের সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, 'এটি সুপ্রিম কোর্টের বিষয় নয়। হাইকোর্টে গিয়ে আবেদন করুন।'
মঙ্গলবার দুপুরে আতিক আহমেদকে প্রয়াগরাজের একটি আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। সবরমতি জেল থেকে অভিযুক্ত বের হওয়ার পরপরই, তিনি ভয় পাচ্ছেন কিনা তা জানতে চান সাংবাদিকরা। উত্তরে আহমেদ বলেন, 'আমি ওদের পরিকল্পনা জানি। ওরা আমাকে হত্যা করতে চায়।'
২০০৫ সালে বিএসপি বিধায়ক রাজু পালকে অপহরণ করা হয়। পরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হলেও অপহরণের মামলা চালকালীন সে বছরই ২৪ ফেব্রুয়ারি দিনের আলোয় হত্যা করা হয় রাজু পালকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়।