নামিবিয়া থেকে আনা পাঁচ বছর বয়সী মহিলা চিতা ‘সাশা’র মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে কিডনিতে সংক্রমণের কারণেই ওই মহিলা চিতার মৃত্যু হয়। এদিকে চিতার মৃত্যুর পর মধ্যপ্রদেশ বন বিভাগের তরফে বাকী ১৮টি চিতার রক্ত, কিডনি, ফুসফুস এবং হার্টের নমুনা জবলপুরের বন্যপ্রাণী ফরেনসিক অ্যান্ড হেলথ স্কুলে পাঠানো হয়েছে।
এমনকী চিতার মৃত্যুর পর মধ্যপ্রদেশের শেওপুর জেলার কুনো ন্যাশনাল পার্ক (কেএনপি) থেকে কিছু চিতাকে স্থানান্তরিত করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। এর জন্য কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় বন ও বন্যপ্রাণী দফতর। কুনোতে, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা ২০ টি চিতা দুটি ব্যাচে রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে দুটি চিতার মৃত্যুর পর চিতার সংখ্যা নেমে এসেছে ১৮ তে। চিতাদের কবে কোথায় স্থানান্তরিত করা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। চিতাদের অবাধ বিচরণের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
বন বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে, কিছু চিতাকে স্থানান্তরিত করার প্রস্তাবটি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়েছে। রবিবার পুরুষ চিতা উদয়ের আকস্মিক মৃত্যুর পর তা দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভাগটি একটি নতুন প্রস্তাব তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: < লক্ষ লক্ষ টাকার বিল না মেটানোর অভিযোগ! মহিলাকে আটকে রাখল JW Marriott Hotel >
এমপির প্রধান প্রধান বন সংরক্ষক জে.এস. চৌহান বলেন, ৭৪৮ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত কুনো জাতীয় উদ্যানে এক সঙ্গে সর্বোচ্চ ২১ টি চিতা থাকতে পারে। এখন যে ১৮ টি চিতা রয়েছে এই জায়গা তাদের অবাধ বিচরণের জন্য পর্যাপ্ত। তবে এই সংখ্যা কিছুটা কমাতে হবে যাতে তারা আরও ভালভাবে অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং নিরাপদে থাকতে পারে।
নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১২টি চিতা দুটি ধাপে কুনো জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে এক মাসের মধ্যে ২টি মৃত্যু হয়েছে। সাশা,নামে মহিলা নামিবিয়ান চিতার মৃত্যু হয় গত ২৭শে মার্চ। কিডনির অসুস্থতার কারণে মারা যায় চিতাটি, এরপরই গত বরিবার পুরুষ চিতা উদযয়ের মৃত্যু হয়।