প্রেসিডেন্সির উপাচার্য পদত্যাগের আর্জি জানালেও পড়ুয়ারা অনড়

প্রেসিডেন্সির হিন্দু হস্টেল ও যাদবপুরের ভর্তি সমস্যা নিয়ে যে আপত্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজভবনে একটি বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠি। শিক্ষাব্যবস্থার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রেসিডেন্সির সমাবর্তন নিয়েও যে টালমাটাল এ বার হয়েছে, সেই প্রসঙ্গও তোলেন রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন: জটিলতা বাড়ছে প্রেসিডেন্সি চত্বরে, হিন্দু হস্টেল নিয়ে বিব্রত রাজ্যপালও

রাজ্যপাল হিন্দু হস্টেল ঘিরে ছাত্র আন্দোলনের প্রসঙ্গ তোলায় তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রেসিডেন্সির উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। হিন্দু হস্টেলের সংস্কার কত দিনে শেষ হবে, উপাচার্যের কাছে এদিন তা জানতে চান রাজ্যপাল। উত্তরে অনুরাধা দেবী জানান, পূর্ত দফতরের কারণেই হস্টেল হস্তান্তরে দেরি হচ্ছে, এতে কর্তৃপক্ষের কোনও হাতই নেই। তবে শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, এই দেরির পিছনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরও গাফিলতি রয়েছে। উপাচার্য আবারও জানান, ছ’মাসের আগে হিন্দু হস্টেল বাসযোগ্য করে তোলা যাবে না। তাঁর পক্ষে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয়, কাজেই তাঁকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক, এই আবেদন করেছেন তিনি। বলা বাহুল্য, কার্যত পদত্যাগের কথাই জানিয়েছেন তিনি।

এদিন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের দাপটের বিরুদ্ধেও মুখ খোলেন আচার্য-রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তাঁর কথায়, কলেজে বারংবার দলীয় কোন্দল চরম রূপ নেয়। তাই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি কলেজ-বিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ তুলে দেওয়ার পরামর্শ দেন সমস্ত উপাচার্যদের। প্রসঙ্গত, এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা, বারাসত রাষ্ট্রীয়, রবীন্দ্রভারতী, কল্যাণী এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরাও।

তবে প্রেসিডেন্সির আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বৈঠকের পরও সমস্যার সমাধানের কোনও আশার আলোই দেখছেন না তাঁরা। এমনকী উপাচার্য এখনও তাঁদের সঙ্গে কথা বলেননি। কাজেই সোমবার একটি জেনারেল বডি মিটিংয়ের পরই তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেবেন।