/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/11/Droupadi_Murmu.jpg)
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দুই কিলোমিটার হেঁটে পৌঁছলেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। যা দেখে বিস্মিত নিরাপত্তারক্ষীরাও। বৃহস্পতিবার তাঁর কনভয় মন্দিরের দুই কিলোমিটার আগেই থামিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি। তিনি নিজেও ওড়িশার বাসিন্দা। আর পাঁচ জন ওড়িশাবাসীর মতই জগন্নাথ মন্দিরের প্রতি স্বভাবতই তাঁর বরাবরের টান। সেই টান থেকেই তিনি বৃহস্পতিবার জগন্নাথ মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। কিন্তু, মন্দিরে যাওয়ার আগে দুই কিলোমিটার পথ তিনি হেঁটে যান।
বর্তমানে দুই দিনের সফরে ওড়িশায় রয়েছেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির রক্ষীরা জানিয়েছেন, খোদ দ্রৌপদী মুর্মুই তাঁদের মন্দিরের দুই কিলোমিটার আগে কনভয় থামানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর, তারপর তিনি সাধারণ ভক্তের মত দুই কিলোমিটার পথ হেঁটে গিয়েছেন। হাঁটার পথে রাষ্ট্রপতি ও তাঁর সঙ্গীদের 'জয় জগন্নাথ' ধ্বনি দিতেও শোনা যায়। তবে, তাঁর সঙ্গীদের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কিন্তু এই প্রথমবারই অবাক করলেন না। এর আগে ঝাড়খণ্ড সফরেও রাষ্ট্রপতিকে কয়েকজন মহিলার সঙ্গে সাঁওতালি ভাষায় কথাবার্তা বলতে শোনা গিয়েছিল।
#Watch | President #DroupadiMurmu walks 2 kms to offer prayers at Odisha's Jagannath temple in Puri pic.twitter.com/jFFqDBW5Tc
— The Indian Express (@IndianExpress) November 10, 2022
এর আগে দিনের শুরুতে রাজ্যপাল গণেশী লাল এবং মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে বিমানবন্দরে বরণ করে নেন। তাঁকে গার্ড অফ অনারও দেওয়া হয়। গত জুলাইয়ে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। তার পর এই প্রথমবার তিনি ওড়িশা সফর করলেন। রাষ্ট্রপতির সফর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সমস্ত সরকারি অফিস, স্কুল, কলেজে অর্ধদিবস ছুটির ঘোষণা করা হয়েছিল। এর পিছনে রাষ্ট্রপতিকে সম্মান জানানোর পাশাপাশি নিরাপত্তাও অন্যতম বড় কারণ ছিল।
আরও পড়ুন- ফেসবুকের নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেটার ব্যাপক কর্মীছাঁটাই, তারপর কী করবেন জুকেরবার্গ?
কারণ রাষ্ট্রপতি যে মন্দিরে যাবেন, তা আগে থেকেই স্থির ছিল। সেইমত ব্যাপক নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। পুরীর মন্দিরের পথের দু'ধারে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল। ছিল ব্যাপক পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা। এই পথ দিয়ে রাষ্ট্রপতি যাবেন, আগে থাকতে ঘোষণা হওয়ায়, ব্যারিকেডের ধারে উৎসাহী মানুষ ভিড় করেছিলেন। তাঁদের মধ্যেই ভিড়ের অংশ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীরা। বিশিষ্টদের মধ্যে কারা রাষ্ট্রপতির কতটা দূরত্বে থাকতে পারবেন, তা-ও ঠিক করে দিয়েছিলেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশেষ রক্ষীরা।
Read full story in English