সহজ হল পুলিশের কাজ। ফৌজদারি কার্যবিধি (শনাক্তকরণ) বিলে সম্মতি দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এই বিলে বন্দিদের শারীরিক ও জৈবিক নমুনা সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করার ক্ষমতা পুলিশকে দেওয়া হল। ১৯২০ সালের বন্দিদের শনাক্তকরণ আইনের বদলে এই নতুন আইনটি ৪ এপ্রিল লোকসভা এবং ৬ এপ্রিল রাজ্যসভায় পাশ হয়। সংসদের উভয়কক্ষে পাশ হওয়ার পর বিলটি পাঠানো হয়েছিল রাষ্ট্রপতির কাছে অনুমোদনের জন্য। ১৮ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি এই বিলে অনুমোদন দিয়েছেন। তারপর, বিলটি আইনে পরিণত হওয়া সংক্রান্ত একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি সরকার প্রকাশ করেছে।
ফৌজদারি বিষয়ে তদন্তের জন্য দণ্ডিত এবং আটক ব্যক্তিদের শারীরিক ও জৈবিক নমুনা সংগ্রহের জন্য পুলিশকে এই বিলে আইনি অনুমোদন তো দেওয়া হয়েছেই। পাশাপাশি, অপরাধের বিচারে ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তার জন্য অভিযুক্তর ব্যক্তির দৈহিক মাপ সংগ্রহ এবং ছবি তোলার অনুমতিও দিয়েছে এই আইন। তবে, বিচারে অভিযুক্ত বেকসুর খালাপ প্রমাণিত হলে সংগৃহীত তথ্য সম্পূর্ণ নষ্ট করে ফেলতে হবে বলেই জানানো হয়েছে এই আইনে।
এই আইনে কোনও অপরাধের বিচারের জন্য কী ধরণের তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে, কাদের থেকে এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে এবং কোন কর্তৃপক্ষ এই ধরনের তথ্য সংগ্রহের অনুমোদন দিতে পারে, তা বিস্তারিত জানানো হয়েছে। বেকসুর খালাস নয়, এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে একটি কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে সংগৃহীত তথ্য সংরক্ষণ করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে এই আইনে।
আরও পড়ুন- যোগীরাজ্যে দলিত নিগ্রহ, চাটানো হল পা, বেল্ট দিয়ে মারধরের অভিযোগে ধৃত ৮
এই সব নমুনা বা তথ্য সংগ্রহের সময় কোনও সরকারি কর্মচারীকে বাধা দিলে তা আইনগত ভাবে অপরাধ হিসেবে গণ্য় হবে বলেও জানানো হয়েছে এই আইনে। রাজ্যসভায় এই আইন নিয়ে বিতর্কে অংশ নিয়ে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন যে রাজনৈতিক বন্দিদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে না। আর, প্রস্তাবিত আইনটি ব্রেন ম্যাপিং এবং পলিগ্রাফ পরীক্ষাকে এর আওতা থেকে বাদ দেবে। বিরোধীরা অবশ্য গোড়া থেকে এই আইনের বিরোধিতা করে এসেছে। এই আইনকে 'অসাংবিধানিক' এবং 'মাত্রাতিরিক্ত কঠোর' বলে নিন্দা করেছে। পাশাপাশি, এই আইনের অপব্যবহার হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
Read story in English