Constitution Day: শুক্রবার ধুমধাম করে সংসদে পালিত হয় সংবিধান দিবস। সংসদের সেন্ট্রাল হলের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী-সহ শাসক জোটের অন্য সাংসদরা। তবে দেশের ১৪টি বিরোধী দল এই অনুষ্ঠান বয়কট করে। সংবিধান দিবস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের উপর দাঁড়িয়ে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে সংবিধান। আমাদের সংবিধান প্রণেতারা স্বাধীন ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখেছিলেন। আমি বিশ্বাস করি দেশের উন্নয়ন যাত্রা ভারতকে প্রগতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে, শক্তিশালী করছে সংবিধানকে।‘
এদিন ভারতীয় গণতন্ত্রে মহিলাদের ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েও বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মহিলাদের শুধু ভোটার করে রাখা হয়নি, দেশের বিভিন্ন আইনসভার সদস্য হয়েছেন তাঁরা। দেশের সংবিধান রচনায় অনন্য ভূমিকা নিয়েছেন দেশের নারীরা।‘
এদিকে, সংসদে সেন্ট্রাল হলে সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে নাম না করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পরিবারতন্ত্র নিয়ে ফের খোঁচা দিলেন দেশের শতাব্দী প্রাচীন দলটিকে। যুগের পর যুগ দল একটি পরিবারের হাতে পরিচালিত হলে তা দেসের গণতন্ত্রের জন্য বড় বিপদ বলে সতর্ক করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৫০ সালে ভারত প্রঝাতন্ত্রী হলেও কেন তারপর প্রায় সাত দশক সংবিধান দিবস পালিত হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে হাত শিবিরকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী সরকার ‘গতান্ত্রিক রীতি-নীতির বিরোধী’- এই অভিযোগে শুক্রবার কংগ্রেস সহ ১৪টি বিরোধী দল সংসদের সংবিধান দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান বয়কট করে। যার বিরুদ্ধেও এ দিন সরব হন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী?
- ‘বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি সংবিধান তৈরি করে আমাদের দেশকে উপহার দিয়েছেন। সই পথেই দেশ এগিয়ে চলেছে। সংবিধান দিবসে সেই সব প্রণম্য ব্যক্তিদের শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনের সময়। মহাত্মা গান্ধী সহ যাঁরা ভারতের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাঁদের শ্রদ্ধার্ঘ।’
- আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ চলাকালীন আমাদের কর্তব্যের পথে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন, যাতে আমাদের অধিকার সুরক্ষিত হয়।’
- ‘বৈচিত্রপূর্ণ, বহুত্ববাদের দেশ ভারত। সংবিধানই আমাদের এক জাতি হিসাবে বেঁধে রেখেছে। অনেক বাধা-বিপত্তির পর এটির খসড়া তৈরি করা হয় এবং দেশের রাজ্যগুলোকে একত্রিত করা হয়। সংবিধান প্রণয়নের সময় কী হয়েছিল সে সম্পর্কে সবাইকে জানানো উচিত, তা তুলে ধরতেই ১৯৫০ সালের পর থেকে প্রতি বছর সংবিধান দিবস পালন করা উচিত ছিল। কিন্তু কিছু মানুষ তা করেননি। আমরা যা করি তা সঠিক কিনা, তার মূল্যায়নের জন্য এই দিবসটি উদযাপন করা উচিত।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন