সুপ্রিম বিচারপতি: কলেজিয়ামের সিদ্ধান্তই বহাল রাখল কেন্দ্র

কর্নাটকের প্রধান বিচারপতি মাহেশ্বরী এর আগেও লাইমলাইটে এসেছিলেন। তখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন দীপক মিশ্র এবং মাহেশ্বরী সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।

কর্নাটকের প্রধান বিচারপতি মাহেশ্বরী এর আগেও লাইমলাইটে এসেছিলেন। তখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন দীপক মিশ্র এবং মাহেশ্বরী সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিচারপতি খান্না ও বিচারপতি মাহেশ্বরী

কর্নাটকের প্রধান বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ব্যাপারে আপত্তি উড়িয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ১০ জানুয়ারির কলেজিয়ামের সিদ্ধান্তে এদিন সই করে দিয়েছেন কোবিন্দ।

Advertisment

এর ফলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল ২৮-এ। শীর্ষ আদালতে মোট ৩১ জন বিচারপতি থাকতে পারেন বলে সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়ে রয়েছে।

১২ ডিসেম্বর কলেজিয়াম প্রস্তাব দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেন্দ্র মেনন এবং রাজস্থান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রদীপ নন্দরাজোগকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি করা হোক।

কিন্তু ১০ জানুয়ারি নতুন কলেজিয়াম সে সিদ্ধান্ত পাল্টে গিয়ে বিচারপতি মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নাম প্রস্তাব করে।

Advertisment

“যে সিদ্ধান্ত ডিসেম্বরে গৃহীত হয়েছিল তাকে হঠাৎ স্থগিত করে, সে সিদ্ধান্ত গোপন রাখা এবং পুরনো সিদ্ধান্ত স্থগিত করার কারণ না জানানোয়“ বিচারপতিদের একাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

জানুয়ারির কলেজিয়ামের তরফ থেকে জানানো হয়, “এ সিদ্ধান্ত এক মাস আগে গৃহীত হলেও তা জনসমক্ষে আনা হয়নি, কারণ আদালতে শীতকালীন ছুটি চলায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আলাপআলোচনা সারা হয়নি।“

কর্নাটকের প্রধান বিচারপতি মাহেশ্বরী এর আগেও লাইমলাইটে এসেছিলেন। তখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন দীপক মিশ্র এবং মাহেশ্বরী সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সে সময়ে অধুনা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি চেলেমেশ্বর কেন্দ্রের সঙ্গে এ ধরনের সরাসরি যোগাযোগ যে যথাযথ নয়, সে কথা জানিয়ে প্রধান বিচারপতি সহ অন্যান্য বিচারপতিদের ২০১৮ সালের ২১ মার্চ একটি চিঠি লেখেন।

২০১৮ সালের ২৯ মার্চ বিচারপতি চেলেমেশ্বর আরও একটি চিঠি লেখেন। একজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একটি তদন্ত ফের শুরু করার ব্যাপারে মাহেশ্বরীর সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ছিল সে চিঠিতে। মাহেশ্বরী আইনমন্ত্রকের কাছ থেকে পাওয়া একটি অভিযোগে ভিত্তিতে এ কাজ করেন। অথচ তার আগে ২০১৭ সালে ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ “ভিত্তিহীন... কেবলমাত্র কুৎসা রটানোর জন্য“ বলে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন মাহেশ্বরীর পূর্বসূরী বিচারপতি।

Read the Full Story in English

supreme court