রাষ্ট্রপতি ভোটের বিরোধী পদপার্থী হিসাবে আগেই নাম উঠেছিল এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের। তখনই তিনি 'না' বলেছিলেন। বুধবার কনস্টিটিউশন হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে ওশরদ পাওয়ারকে প্রার্থী হলে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু পত্রপাঠ তা খারিজ করে দেন এই মারাঠা 'স্ট্রংম্যান'। ফলে ঠিক হয়েছে সর্বসম্মতিক্রমেই বিরোধী সব দল আলোচনা করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদপার্থী বেছে নেবে। আগানী কয়েকদিনের মধ্যেই ফের বৈঠক হবে। এই সিদ্ধান্তে কথা জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, শরদ পাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর বৈঠকে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী ও কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান ফারুক আবদুল্লার নামও রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে প্রস্তাব করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৈঠকের পর সিপিআইএম নেতা সুধীন্দ্র কুলকার্নি বলেছেন, 'বিরোধী নেতারা আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সর্বসম্মতিতে একজন প্রার্থী দেওয়ার জন্যপ্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। একজন প্রার্থী যিনি প্রকৃত অর্থে সংবিধানের রক্ষক হিসাবে কাজ করতে পারেন এবং মোদী সরকারকে ভারতীয় গণতন্ত্র এবং ভারতের সামাজিক কাঠামোর আরও ক্ষতি করা থেকে বিরত রাখতে পারেন।'
দুয়ারে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। বিরোধীদের প্রার্থী কে হবেন? তা নির্ণয়ে বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে দিল্লিতে বৈঠক করে তৃণমূল, কংগ্রেস, সকল বাম দল, পিডিপি, এসপি সহ বিজেপি বিরোধী ১৭টি দল। তবে আসেনি বিজেডি, আপ, টিআরএস ও ওয়াইএসআর কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধিরা। ফলে বিরোধী শিবিরের জোটের এই প্রয়াস নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতি নির্বাচন: মমতার বৈঠক এড়ালেন একাধিক বিরোধী দল! বাধ্যবাধকতা নাকি কৌশল?
তবে এই চার দলের না আসাকে তেমন পাত্তা দিচ্ছেন না খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেছেন, 'তাঁদের কিছু অসুবিধা ছিল বলে হয়তো আসতে পারেননি।' এই বৈঠক ঘিরে আশাবাদী মমতা। তাঁর দাবি, 'এর আগে এতগুলো দল কখনও একজায়গায় হয়নি। যেটা এই বৈঠকের অন্যতম সাফল্য।'
জাতীয় রাজনীতিতে ছাপ ফেলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মরিয়া তৃণমূল। সেই পদক্ষেপেরই এক ধাপ বিস্তার ঘটল বুধবারের বৈঠকে। রাজধানীর অলিন্দে এখন জোর গুঞ্জন। তবে, বিজেপির দাবি, গেরুয়া দলের নির্ধারিত প্রার্থীই ফের রাইসিনা হিলসে যাবেন। এনডিএর যা ক্ষমতা তার চেয়ে বেশি ভোট পাবেন তাদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী।