১২ বছরের অনূর্ধ্ব শিশুকন্যা ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড সম্পর্কিত অর্ডিন্যান্সটিতে সম্মতি দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গতকালই এ সম্পর্কিত অর্ডিন্যান্সটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে। রবিবার দিনই এ অর্ডিন্যান্সে স্বাক্ষর করলেন রাষ্ট্রপতি। এবার ৬ সপ্তাহের মধ্যে সংসদের দুই কক্ষে অর্ডিন্যান্সটি পাশ হতে হবে।
এই অর্ডিন্যান্সে ১২ বছরের কমবয়সী শিশুকন্যাদের ধর্ষণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম শাস্তির মেয়াদ হবে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। অর্ডিন্যান্স অনুসারে এ অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্তও হতে পারে। ১২ অনূর্ধ্ব শিশুকন্যাদের গণধর্ষণের ক্ষেত্রে অপরাধীর ন্যূনতম শাস্তি হবে অপরাধীর আজীবন কারাবাস। এক্ষেত্রেও মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে অর্ডিন্যান্সে। ১৬ বছর বয়সের বেশি বয়সী মেয়েদের ধর্ষণের ক্ষেত্রেও ন্যূনতম শাস্তির মেয়াদ বাড়ছে অর্ডিন্যান্স অনুসারে। এ ক্ষেত্রে আজীবন কারাবাস পর্যন্ত শাস্তি হতে পারে।
আরও পড়ুন, শিশুধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড, অপরাধ রোধে কতটা কার্যকর?
প্রস্তাবিত অর্ডিন্যান্স অনুসারে ১৬ বছরের কমবয়সী মেয়েদের ধর্ষণ ও গণধর্ষণে অভিযুক্তরা আগাম জামিন পাবে না। অনূর্ধ্ব ১৬ মেয়েদের ধর্ষণ বা গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে আদালতকে ১৫ দিন আগে সরকারি আইনজীবী ও নির্যাতিতার পরিবারকে নোটিস দিয়ে জানাতে হবে।
শনিবার সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই অর্ডিন্যান্স ধর্ষণের মতো অপরাধ কমাতে সহায়ক হবে এবং মহিলাদের মধ্যে নিরাপত্তার বোধ আনবে। প্রস্তাবিত অর্ডিন্যান্সে ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, পকসো আইন ও এভিডেন্স অ্যাক্টে সংশোধনী আনার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন, ১২ বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুকে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড! সায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার