রাজ্যসভায় যে বিল অমিত শাহ পেশ করেছেন, তার মূল বিষয় ছিল দেশের সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া। এই ধারার মধ্যে দিয়েই বিশেষ মর্যাদার তকমা পেত জম্মু কাশ্মীর।
বিগত কয়েক দিন ধরে চলা জল্পনাই সত্যি হল। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পথেই এগোল মোদী সরকার। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার প্রস্তাব দেওয়া হল।
Advertisment
রাজ্যসভায় যে বিল অমিত শাহ পেশ করেছেন, তার মূল বিষয় ছিল সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে দেওয়া। এই ধারার মধ্যে দিয়েই বিশেষ মর্যাদার তকমা পেত কাশ্মীর। এই বিল পেশের পরেই রাজ্যসভায় চূড়ান্ত হট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। সেই হট্টগোলের জন্য শাহের বিবৃতির পরেই রাজ্য়সভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কইয়া নাইড়ু।
৩৭০ ধারা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর। এই ধারাবলে জম্মুকাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ১ ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। এই ধারা বলে ওই রাজ্যে সংসদের ক্ষমতা সীমিত। ভারতভুক্তি সহ কোনও কেন্দ্রীয় আইন বলবৎ রাখার জন্য রাজ্যের মত নিলেই চলে। কিন্তু অন্যান্য বিষয়ে রাজ্য সরকারের একমত হওয়া আবশ্যক। ১৯৪৭ সালে, ব্রিটিশ ভারতকে ভারত ও পাকিস্তানে বিভাজন করে ভারতীয় সাংবিধানিক আইন কার্যকর হওয়ার সময়কাল থেকেই ভারতভুক্তির বিষয়টি কার্যকরী হয়।