প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে 'চুরি যাওয়া' নথির বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কে.কে. বেণুগোপালের মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারতের সংবাদ মহল। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এজি দাবি করেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে 'চুরি যাওয়া' নথির ওপর ভিত্তি করেই রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে। এরপরই তিনি বলেন, এ কারণে দু'টি সংবাদমাধ্যম ও এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে 'অফিসিয়াল সিক্রেট আইন' প্রয়োগ করা যায়। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, সরকার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সম্মান করে, কিন্তু 'জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রটি ব্যতিক্রমী'। সামগ্রিকভাবে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বোচ্চ আইনজীবীর এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে দৃঢ় অবস্থান দেখিয়েছে ভারতের এডিটরস গিল্ড-সহ বেশ কেয়কটি সংস্থা।
ভারতের এডিটরস গিল্ড-এর পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "দ্বর্থহীন ভাষায় এজির মন্তব্যের নিন্দা করছে গিল্ড...রাফাল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী রায়ে কেন্দ্রকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছিল। সেই রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন চুরি যাওয়া নথির ওপর ভিত্তি করে দায়ের হয়েছে বলে তা বাতিল করে দেওয়া উচিত, এমনটাই মন্তব্য করেছেন তিনি। এরফলে অফিসিয়াল সিক্রেট আইন ভঙ্গ হয়েছে কি না, সে বিষয়ে তদন্তও করা যায় বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি (কে.কে. বেণুগোপাল)"।
গিল্ডের বিববৃতিতে আরও বলা হয়,"পরে অবশ্য এজি ব্যাখ্যা করে বলেন, সাংবাদিকদের বা সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে তদন্ত বা সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না। তবুও এমন আবহে রাফাল ইস্যু-সহ সার্বিকভাবে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হবে। এ ক্ষেত্রে অফিসিয়াল সিক্রেট আইন প্রয়োগ করা হলে তা কোনও সাংবাদিককে বলপূর্বক খবরের উৎস জানাতে বাধ্য করার মতো লজ্জাজনক। গিল্ড এ ধরনের হুমকির নিন্দা করছে এবং সরকারকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করছে। এরফলে দেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হতে পারে"।
Read the full story in English