New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/03/Rape.jpg)
ছবি প্রতীকী
ধর্ষণে অভিযুক্ত সাংবাদিক বরুণ হিরেমথের দায়ের করা মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করেছে আদালত।
ছবি প্রতীকী
অতীতের যৌন সম্পর্ক, দ্বিতীয়বার অনুমতির কারণ হতে পারে না। সেক্ষেত্রে জোর করে যৌন সম্পর্ক ধর্ষণের নামান্তর। সাম্প্রতিক এক ধর্ষণ মামলায় এমন পর্যবেক্ষণ দিল্লির একটি আদালতের। ধর্ষণে অভিযুক্ত সাংবাদিক বরুণ হিরেমথের দায়ের করা মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করেছে আদালত।
পাতিয়ালা কোর্টের বিচারক সঞ্জয় খানাগোয়াল রায় দিতে গিয়ে লিখেছেন, 'অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তের হোয়াটজঅ্যাপ আর ইনস্টাগ্রাম চ্যাট থেকে স্পষ্ট দু'জনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দু'জনেই একে অপরের প্রতি যৌন উদ্রেকমূলক চ্যাট করতেন সোশাল মাধ্যমের চ্যাট বক্সে। কিন্তু তাতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫৩-এ ধারার তথ্য-প্রমাণ আইনে এটা প্রমাণ হয় না যে ধর্ষণের ধারা ৩৭৬-এর পরিপূরক। অর্থাৎ অতীতের সম্মতিতে হওয়া যৌন সম্পর্ক দ্বিতীয়বার সহবাসের সম্মতির কারণ হতে পারে না।'
তিনি আরও বলেছেন, 'এই মামলায় আইপিসির ১১৪-এ ধারায় এটা প্রমাণিত হয়েছে যে ঘটনার দিন সম্মতি ছাড়াই যৌন সম্পর্ক করেছেন অভিযুক্ত। আর অতীতের সম্মতিতে হওয়া যৌন সম্পর্ককে হাতিয়ার করেছেন অভিযুক্ত। আর যেটা ধর্ষণের নামান্তর।'
ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশের সামনে দেওয়া বয়ানে অভিযোগকারিণী বলেছেন, '২০ ফেব্রুয়ারি চাণক্যপুরীর এক অভিজাত হোটেলে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন বরুণ হিরেমথ। এখন অভিযুক্ত দেশের প্রথমসারির এক সংবাদগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত।'