Omicron Infection in India: দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ ২০০-র গণ্ডি পেরিয়েছে। এই আবহে পার্ষদদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী। ওমিক্রন আবহে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রস্তুতি জানতেই এই বৈঠক। বুধবার নরেন্দ্র মোদির এই বৈঠকের আগে রাজ্যগুলোকে উৎসব আবহে আরও সতর্ক হতে পরামর্শ দিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এলাকাভিত্তিক বিধিনিষেধ আরোপে বেশি জোর দিতে বলা হয়েছে। নতুন সংক্রমিত এলাকা, সংক্রমণের হারবৃদ্ধির উপর নিয়মিত নজরদারি চালাতে সুপারিশ পাঠিয়েছে মন্ত্রক। পাশাপাশি ভোটমুখী রাজ্যগুলোকে টিকাকরণের গতি বাড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে দেশের যে জেলাগুলোতে টিকাদানের হার মন্থর, সেই জেলায় টিকাদানের গতি বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক। পাশাপাশি সংক্রমণ প্রবণ ব্যক্তিদের আগে টিকা দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে দিল্লি বড়দিন এবং নিউ ইয়ারের সব বড় অনুষ্ঠান এবং জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। রাত ১১টা- ভোর ৫টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু ঘোষণা করেছে মধ্য প্রদেশে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৬টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ছড়িয়েছে ওমিক্রন। এই প্রজাতির সংক্রমণের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। তারপরেই দিল্লি, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক, রাজস্থান এবং কেরল।
ঘুম কাড়ছে ওমিক্রন। করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে দেশজুড়ে উদ্বেগ চরমে। ভ্যাকিসনের ডবল ডোজ নেওয়া থাকলেও নিশ্চিন্ত হওয়া যাচ্ছে না। দিল্লির লোকনায়ক হাসপাতালে ওমিক্রন আক্রান্ত ৩৪ জনের মধ্যে ৩৩ জনেরই করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়া রয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন আবার বুস্টার ডোজও নিয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ এক কর্তা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
দিল্লির স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওমিক্রন আক্রান্ত প্রত্যেকেরই কয়েকটি উপসর্গ ছিল। সবারই হালকা জ্বর, গলা ব্যথা এবং শরীরে ব্যথার মতো হালকা লক্ষ্মণ ছিল। তবে তাঁদের কাউকেউ অক্সিজেন বা ভেন্টিলেটরে রাখার প্রয়োজন হয়নি।
লোকনায়ক হাসপাতালের অধিকর্তা ডা: সুরেশ কুমার বলেন, “এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন আক্রান্ত ৩৪ জনের চিকিৎসা করেছি। যাঁদের মধ্যে ১৮ জনকে ইতিমধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তদের একজন ছাড়া সকলেই করোনার টিকা নিয়েছিলেন। যার অর্থ এই যে, ভাইরাসের এই নয়া স্ট্রেন ডাবল ডোজের টিকা নেওয়া ব্যক্তিদেরও সংক্রমিত করতে সক্ষম।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ওমিক্রন আক্রান্ত দুই বিদেশ ফেরত যাত্রীর বুস্টার ডোজও নেওয়া ছিল।
ভারতে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন হানায় মৃত্যু বা রোগীর আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে এমন উদাহরণ মেলেনি। লোকনায়ক হাসপাতালের অধিকর্তা এবিষয়ে বলেন, “এখনও পর্যন্ত রোগীদের মধ্যে শুধুমাত্র হালকা লক্ষণ দেখেছি। তবে, এটি টিকা দেওয়ার কারণেও হতে পারে। যদি সংক্রমণটি গোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, তবে ভয়ের কারণ থাকবে। কারণ এক্ষেত্রে যাঁরা টিকা নেননি তাঁদের গুরুতর লক্ষ্মণ দেখা দিতে পারে।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন