সবে শপথ নিয়েছেন দ্বিতীয় মোদী সরকারের মন্ত্রীরা। কিন্তু, লোকসভা ভোটে অভাবনীয় সাফল্য উদযাপন করতে না করতেই একেবারে কাজের মেজাজে মন্ত্রিসভার প্রধান তথা প্রধানমন্ত্রী মোদী। শপথগ্রহণের পরের দিনই মন্ত্রীদের ‘টাস্ক’ দিয়েছেন নমো। আগামী ৫ বছরে সরকারের কাজের সামগ্রিক পরিকল্পনা এখনই সেড়ে ফেলতে চাইছেন মোদী। সেকারণেই সব মন্ত্রীদের আগামী ৫ বছরের কাজের রূপরেখা তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। গত ৩১ মে নয়া মোদী সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই এই টাস্ক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কর্মসংস্থানে জোর, নয়া দুই ক্যাবিনেট প্যানেল গড়লেন মোদী
সূত্রের খবর, ‘‘প্রত্যেক মন্ত্রকে আগামী ৫ বছরের কাজের পরিকল্পনা জমা হোক, সেই মতোই কাজ করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। এটাই চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী’’। অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন পিএমও-র নির্দেশে প্রথম ১০০ দিনের যে কাজের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল মন্ত্রকগুলি, সেই কাজের সঙ্গে নয়া রূপরেখা যোগ করা হবে। সূত্রের খবর, প্রথম কয়েক সপ্তাহে এই 'টাস্ক'ই রূপায়নে সচেষ্ট হবেন করবেন মন্ত্রীরা। একইসঙ্গে আগামী ৫ বছরে কাজের পরিকল্পনা নির্ধারণ করবেন তাঁরা। কী ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হবে, তা প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হতে পারে। পাশাপাশি, এ ব্যাপারে অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গেও আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টিতার কথা মাথায় রেখে ৫ বছরের কাজের পরিকল্পনা ঠিক করা মন্ত্রীদের জন্য খুব একটা সহজ কাজ হবে না বলেই মনে করছেন অনেকে। এ কাজ অত্যন্ত দক্ষতার সহ্গে করতে হবে মন্ত্রীদের, এমনটাই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
একটি সূত্রের মতে, বিপুল জনাদেশ নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরায় নয়া সরকারের নতুন ফোকাস ঠিক করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নয়া উদ্যোমে কাজ করাই এখন চ্যালেঞ্জ মোদীবাহিনীর। প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনায় কৃষকদের আর্থিক সাহায্য বাড়িয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের জন্য পেনশন প্রকল্প আনছে সরকার। একইরকম ভাবে কৃষকদের জন্যও পেনশন প্রকল্প অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এই প্রকল্পে আগামী ৩ বছরে ৫ কোটি কৃষক উপকৃত হবেন। শেষমেশ, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক তাঁর মন্ত্রীরা দক্ষ হাতে আগামী ৫ বছরের কাজের রূপায়ণ কীভাবে করেন, এখন সেটাই দেখার।
Read the full story in English