সিবিআই ডিরেক্টর পদে অলোক ভার্মার বদলি খুঁজতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কমিটি ২৪ জানুয়ারি বৈঠকে বসতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদী ছাড়া সিলেকশন কমিটিতে রয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে।
সংবাদসংস্থা পিটিআই একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে ২১ জানুয়ারিতেই বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিল সরকার, কিন্তু খাড়্গের অনুরোধে বৈঠকের তারিক বদলানো হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি থেকে সিবিআই ডিরেক্টরের পদ খালি পড়ে রয়েছে। ওইদিন উচ্চপর্যায়ের কমিটি দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই ডিরেক্টর পদ থেকে অলোক ভার্মাকে নিষ্কৃতি দেয়। ভার্মার দু বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩১ জানুয়ারি।
এর পর সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তী ডিরেক্টর পদের জন্য আইপিএস অফিসার এম নাগেশ্বর রাওকে বসানো হয়। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপের চিঠি লেখেন বিরোধী দলনেতা খাড়্গে। চিঠিতে তিনি বলেন, অন্তর্বতী ডিরেক্টর হিসেবে রাওয়ের নিয়োগ বেআইনি, এবং একইসঙ্গে তিনি আর একটুও দেরি না করে সিবিআই প্রধান পদে নিয়োগের জন্য সিলেকশন কমিটির বৈঠক ডাকতে বলেন।
ওই চিঠিতে খাড়্গে বলেন, কমিটি এমন একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রিপোর্ট বিচারপতি পট্টনায়েক অস্বীকর করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি পট্টনায়েককে সিভিসি-র তদন্তের দেখভাল করতে বলেছিল।
ভার্মার উত্তরসূরী বেছে নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ১৯৮৩, ১৯৮৪ এবং ১৯৮৫ ব্যাচের মোট ১৭জন আইপিএস অফিসারের তালিকা তৈরি করেছে। বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় এঁদের অভিজ্ঞতা, সিনিয়রিটি এবং সততা যাচইয়ের জন্য এই নামগুলি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট (DoPT বা ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং)দফতরের কাছে।
অন্তিম প্যানেল গঠিত হবে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত তিনজনকে নিয়ে। এ ব্যাপারে সর্বাগ্রে যে নামটি উঠে আসছে, ,সেটি হল এনআইএ ডিজি ওয়াই সি মোদী। আসাম ও মেঘালয় ক্যাডারের এই অফিসার ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্য ছিলেন।