কয়েক মাস আগেই ১০ লক্ষ চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার সেই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই আগামী ২২ অক্টোবর, শনিবার ৩৮টি মন্ত্রক ও বিভাগের বিভিন্নস্তরে ৭৫ হাজার নিয়োগপত্র দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। দীপাবলির মাত্র দু'দিন আগে এই নিয়োগপত্র কার্যত প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দীপাবলির উপহার বলেই দাবি করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই রোজগার বা কর্মসংস্থান মেলার সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'যুবদের জন্য চাকরির সুযোগ দেওয়া এবং নাগরিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্রমাগত প্রতিশ্রুতি দেওয়া। এই প্রতিশ্রুতি পূরণের ক্ষেত্রে এই মেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে চলেছে।' সরকার বিভিন্ন মন্ত্রক এবং বিভাগের সমস্ত শূন্যপদ পূরণের লক্ষ্যকে 'মিশন' হিসেবে বেছে নিয়েছে। নতুন কর্মচারীরা গ্রুপ এ এবং গ্রুপ বি (গেজেটেড), গ্রুপ বি (নন-গেজেটেড) এবং গ্রুপ সি-র বিভিন্ন পদে যোগদান করবেন। ডিভিশন ক্লার্ক (এলডিসি), স্টেনো, ব্যক্তিগত সহকারি (পিএ), আয়কর পরিদর্শক, মাল্টি-টাস্কিং স্টাফ (এমটিএস) পদে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন- কুর্সি ছাড়লেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস, ৪৫ দিনের মধ্যেই ইস্তফা
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক নিজেরা বা ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC), স্টাফ সিলেকশন কমিশন (SSC) এবং রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে নিয়োগগুলো করবে। চলতি বছরের জুনেই ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২৪ সালে এনডিএ সরকার তৃতীয়বারের মেয়াদে ক্ষমতায় আসার আগে মোদীর এই পদক্ষেপকে বিরোধীদের কাছ থেকে 'বেকারত্ব'-র অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, ইতিমধ্যেই শহরাঞ্চলে যুবকদের (১৫-২৯ বছর বয়সিদের) বেকারত্বের হার ২০ শতাংশর ওপর পৌঁছে গিয়েছে।
গত কয়েকটি ত্রৈমাসিকে বেকারত্বের বাড়বাড়ন্ত বিরোধীদের হাতে রীতিমতো অস্ত্র তুলে দিয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো যাত্রা'-য় কংগ্রেস যে বিষয়গুলো তুলে ধরছে, তার মধ্যে অন্যতম হল বেকারত্ব। করোনা-পরবর্তী আর্থিক ক্ষেত্রে বিপর্যয় এসেছে। এর ফলে বেসরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগ কমেছে। এই পরিস্থিতি বদলাতে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বাড়াতে তৎপর হয়েছে মোদী অ্যান্ড কোং। যাকে একটি রাজনৈতিক কৌশলগত পরিবর্তন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Read full story in English