রাজ্যের জল ধরো, জল ভরো প্রকল্পের আদলে এবার বিশ্ব জল দিবসে ‘জল শক্তি অভিযান’ সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালুর পরে কেন্দ্রীয় সরকার চালু করেছে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। গত এক দশক ধরে চলা রাজ্যের আরও একটি ‘মডেল প্রকল্প’ ‘জল ধরো জল ভরো’র ধাঁচে এ বার জাতীয় স্তরে বৃষ্টির জল ধরার প্রকল্প মঙ্গলবার শুরু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এ ছাড়া, বুন্দেলখণ্ডের বিশাল এলাকায় সেচ ও পানীয় জলের সুবিধা পৌঁছে দিতে উত্তরপ্রদেশের কেন নদীর সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের বেতওয়া নদীর মধ্যে সংযোগ ঘটানোর লক্ষ্যে একটি মউ স্বাক্ষরিত হবে এ দিন। জাতীয় পরিপ্রেক্ষিতে এটিই হবে প্রথম কোনও আন্তঃরাজ্য নদী-সংযোগ প্রকল্প। সরকারের দাবি, এটি রূপায়িত হলে, বছরে ১০.৬২ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচের জল পৌঁছবে। প্রায় ৬২ লক্ষ মানুষ পাবেন পানীয় জল। মিলবে ১০৩ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎও।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, বৃষ্টির জল ধরার অভিযানটিকে জনআন্দোলনে পরিণত করতে চায় সরকার। এর স্লোগান হবে, ‘যেখানে যখন ঝরুক, বৃষ্টি ধরো’। ২২ মার্চ থেকে ৩০ নভেম্বর, অর্থাৎ প্রাক-বর্ষা পর্ব ও গোটা বর্ষাকাল জুড়ে সারা দেশে গ্রাম-শহরে চলবে এই অভিযান। পশ্চিমবঙ্গে ২০১১ সাল থেকেই চালু রয়েছে ‘জল ধরো জয় ভরো’ প্রকল্প। বৃষ্টির জল ধরে ও জলের উৎসগুলি সংরক্ষণের মাধ্যমে কৃষি ও পশুপালনে তা ব্যবহার করা ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করার লক্ষে এক দশকে প্রায় তিন লক্ষ জলাশয় খনন করা হয়েছে রাজ্যে। এটিকে মডেল প্রকল্প হিসেবে ধরা হয়। মোদী কাল ভিন্ন নাম ও আঙ্গিকে গোটা দেশের জন্য বৃষ্টি ধরার এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। তার পরে এ দিনই দেশের সব গ্রাম পঞ্চায়েতে বসবে গ্রামসভা (ভোট হচ্ছে যে সব রাজ্যে, সেগুলি বাদে)। হবে জল সম্পদ আহরণ, সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিয়ে আলোচনা। নেওয়া হবে ‘জল শপথ’।