জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি আদতে তোলাবাজি। রবিবার এই ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। সেই চিঠিতে অবিলম্বে পেট্রল-ডিজেলের মূল্যহ্রাসে কেন্দ্রকে পদক্ষেপ নিতে আর্জি জানান তিনি। তাঁর অভিযোগ, 'মানুষকে বিপাকে ও বেকায়দায় ফেলে জ্বালানি থেকে লাভ ঘরে তুলছে মোদী সরকার।'
চিঠিতে তিনি লেখেন, 'ক্রমাগত জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে দেশের প্রতিটি মানুষ বিক্ষুব্ধ এবং দুর্গতির মধ্যে আছেন।' সুর চড়িয়ে তাঁর দাবি, 'দেশ ক্রমাগত বেকারত্ব, বেতনহ্রাস ও নগদের অভাবে ভুগছেন। জীবন-জীবিকা নির্বাহে ক্রমাগত সংগ্রাম করছেন মধ্যবিত্ত এবং শ্রমজীবী মানুষ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। মানুষের এই দুর্দিনে জ্বালানি থেকে লাভ ঘরে তুলছে কেন্দ্র সরকার।'
এদিকে, ভোটের মুখে বড় ঘোষণা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ডা. অমিত মিত্রর। লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি থেকে আম জনতাকে স্বস্তি দিতে পেট্রোপণ্যের উপর শুল্ক কিছুটা কমানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। রবিবার অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের সুরাহার জন্য পেট্রল ও ডিজেলের উপর থেকে রাজ্যের চাপানো সেস এক টাকা করে কমানো হবে। আজ, মধ্যরাত থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। ভোটের মুখে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ এই দাম কমানো, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আশঙ্কা ছিলই, যে হারে প্রতিদিন বেড়েই চলেছিল পেট্রল-ডিজেলের দাম। সেখানে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ১০০ টাকা হবে, এমনটাই ভাবা হচ্ছিল। আর যেমনটা ভাবা, তেমনটাই হল দেশে। রাজস্থানে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে পেট্রোলের দাম। দিল্লিতে ৯০ ছুঁয়েছে। মুম্বইয়ে ৯৬ টাকা লিটার পিছু। কলকাতাতেও ৯০ টাকা ছাড়িয়েছে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম। লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির জেরে দেশজুড়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধী থেকে সাধারণ মানুষ। এই প্রসঙ্গে উদ্বেগের কথা স্বীকার করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। শনিবার তিনি জানিয়েছেন, দাম কমাতে রাজ্যগুলির সঙ্গে কেন্দ্র আলোচনায় বসতে চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি।