মেরামতির জন্য সাত মাস আগেই গুজরাটে মাচ্ছু নদীর উপর সাসপেনশন সেতুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে গত ২৬ অক্টোবর ওই সেতু খুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, মোরবি পুরসভার ফিট সার্টিফিকেট ছাড়াও তড়িঘড়ি সাসপেনশন সেতুটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। এ বছর মার্চেই মোরবির ওরেভা গ্রুপকে সেতুটি রক্ষনাবেক্ষণের জন্য বরতা দেওয়া হয়েছিল।
Advertisment
মোরবি পুরসভার শীর্ষ আধিকারিক সন্দীপসিং জালা বলেছেন, 'সেতুটি মোরবি পৌরসভার সম্পত্তি, কিন্তু আমরা কয়েক মাস আগে ১৫ বছর ধরে ওই সেতু রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার ভার ওরেভা গ্রুপের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছঠে। যাইহোক, ওরেভা সংস্থারটি আমাদের না জানিয়েই দর্শনার্থীদের জন্য সেতুটি খুলে দিয়েছে, ফলে আমরা সেতুটির নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে পারিনি।'
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সন্দীপসিং জালা বলেছেন, 'সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পরে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় পৌরসভা এখনও কোন ফিটনেস শংসাপত্র দেয়নি (সংস্কার কাজের পরে)।'
মাচ্ছু নদীর উপর উনিশ শতকের শুরুতে ঝুলতা পুলটি (সাসপেনশন ব্রিজ) তৈরি হয়েছিল। রবিবার ছট পুজোর দিন প্রায় দেড়শ জনের ভার বহন করতে না পেরে সেটি ভেঙে পড়ে।
পুরসভার অভিযোগ নিয়ে ওরেভা গ্রুপের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেছেন, 'আমরা সবটাই খতিয়ে দেখছি। প্রাথমিকভাবে, সেতুটি ভেঙে পড়েছে কারণ সেতুর মাঝামাঝি অংশে অনেক লোক জমা হয়েছিল। তাঁরা একদিক থেকে থেকে অন্য দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।'
গুজরাট পর্যটন ওয়েবসাইটের অন্যতম আকর্ষণ হিসাবে তালিকাভুক্ত সাসপেনশন সেতু। এটিকে 'ইঞ্জিনিয়ারিং বিস্ময়' হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। সেতুটিকে 'ইউরোপে সেই সময়কালের সর্বোত্তম প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি, যা মরবিকে একটি অনন্য পরিচয় দিয়েছে।' সেতুটি ১.২৫ মিটার চওড়া এবং দরবারগড় প্রাসাদ এবং লক্ষধিরজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সঙ্গে সংযোগকারী মাচ্ছু নদীর উপর ২৩৩ মিটার বিস্তৃত।
স্যার ওয়াঘজি ঠাকুর, ১৯২২ সাল পর্যন্ত মরবি শাসন করেছিলেন। তিনি ঔপনিবেশিক প্রভাব দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন এবং দরবারগড় প্রাসাদকে নজরবাগ প্রাসাদের (তৎকালীন রাজপরিবারের বাসস্থান) সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য সেই সময়ের একটি "শৈল্পিক এবং প্রযুক্তিগত বিস্ময়" সাসপেনশম সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।