আমার উদ্দেশ্য মিটেছে, ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বললেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
প্রিয়াঙ্কা সহ কংগ্রেসের অন্য কর্মীরা যে গেস্ট হাউসে ছিলেন সেথানে গভীর রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। মোবাইল ফোনের আলোয় প্রিয়াঙ্কার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ছবি শেয়ার করেছেন কংগ্রেস কর্মীরা।
প্রিয়াঙ্কা সহ কংগ্রেসের অন্য কর্মীরা যে গেস্ট হাউসে ছিলেন সেথানে গভীর রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। মোবাইল ফোনের আলোয় প্রিয়াঙ্কার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ছবি শেয়ার করেছেন কংগ্রেস কর্মীরা।
আটক প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাক্ষাৎ (ছবি- ভারতের জাতীয় কংগ্রেস)
আটক অবস্থাতেই শোণভদ্র গুলিচালনার ঘটনার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। মির্জাপুরের চুনার গেস্ট হাউসে তাঁকে শুক্রবার থেকে আটক করে রেখেছ স্থানীয় প্রশাসন। সেখানেই এই সাক্ষাৎপর্ব চলে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির মোট ১২ জন সদস্য কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন বলে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন দলের প্রবীণ নেতা অজয় রাই।
Advertisment
এএনআই-কে প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, "ওঁদের (শোণভদ্র গুলিচালনার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের) সঙ্গে দেখা হওয়ায় আমার উদ্দেশ্য মিটেছে। আমি এখনও আটক, দেখা যাক প্রশাসন কী বলে। কংগ্রেস এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে।"
শোণভদ্রে এ সপ্তাহে জমি নিয়ে বিবাদে ১০ জন খুন হয়েছেন। সেখানে যাওয়ার পথে আটক করা হয়েছে কংগ্রেসের এই নেত্রীকে। উত্তর প্রদেশের ডিজিপি ও পি সিং জানিয়েছেন এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে শোণভদ্রে। সেজন্যই প্রিয়াঙ্কাকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ২৪ ঘণ্টা হল, যতক্ষণ না শোণভদ্র ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সঙ্গে আমাকে না-দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে আমি এলাকা ছাড়ব না। এর আগে কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক শোণভদ্রে নিহতদের পরিবারের শোকসন্তপ্ত পরিবারের একটি ভিডিও পোস্ট করেন, সেখানে তিনি বলেন, চোখের জল মোছানো কি অপরাধ?
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) July 20, 2019
গোটা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উত্তর প্রদেশ প্রশাসনের মনোভাব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এএনআই-কে প্রিয়াঙ্কা বলেন, "প্রশাসনের উচিত এঁদের পরিবারের দেখাশোনা করা। যখন এঁদের সঙ্গে অঘটন ঘটেছে, তখনই তাঁদের সাহায্য করা উচিত ছিল। প্রশাসনের মানসিকতা আমার বোধের বাইরে। যখন ঘটনা ঘটছিল তখনই ওঁদের সাহায্য করা প্রশাসনের উচিত ছিল। আমি প্রশাসনের মানসিকতা বুঝতে পারছি না।"
প্রিয়াঙ্কা সহ কংগ্রেসের অন্য কর্মীরা যে গেস্ট হাউসে ছিলেন সেথানে গভীর রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। মোবাইল ফোনের আলোয় প্রিয়াঙ্কার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ছবি শেয়ার করেছেন কংগ্রেস কর্মীরা। রাজ বব্বরের মত প্রবীণ নেতা বলেছে প্রশান চুনার গেস্ট হাউসে বিদ্যুৎ ও দলের সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, যদি এসব চাপ সৃষ্টি করে প্রিয়াঙ্কাকে ফেরত পাঠানো য়াবে বলে প্রশাসন ভেবে থাকে, তাহলে তারা ভুল করছে।
একটি পৃথক টুইটে প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, তাঁর আটক সম্পর্কে বেআইনি বলে তাঁকে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তিনি বলেন, আধিকারিকরা আমার সঙ্গে এক ঘণ্টা বলেছিল। ওরা আমাকে আটকের কারণ দেখায়নি, কোনও কাগজপত্রও দেয়নি।
ADG Varanasi, Commissnor Varanasi division and other senior Police & Govt officials leaving Chunar Qila at 1.15 am pic.twitter.com/ceyk4Rg2k0
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) July 19, 2019
এরই মধ্যে বারাণসী বিমানবন্দরে পুলিশ আটকে দিয়েছে দীপেন্দর সিং হুডা, মুকুল ওয়াসনিক, রতনজিৎ প্রতাপ নারায়ণ সিং, জিতিন প্রসাদ ও রাজীব শুক্লাকে। এই কংগ্রেস নেতারা শোণভদ্রের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। এ ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারি বলেছেন, "এই সরকার চায় না কেউ গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের চোখের জল মুছিয়ে দিক। যা ঘটেছে তা অসাংবিধানিক এবং অগণতান্ত্রিক। উত্তর প্রদেশ সরকার নিজেদের পাপ ঢাকতে অঘোষিতা জরুরি অবস্থা জারি করেছে।"