'ক্ষমতায় ফেরালে কেন্দ্রীয় তিন কৃষি আইন বাতিল করবে কংগ্রেস'। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে কৃষকদের মহাপঞ্চায়েতে এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনকে 'রাক্ষুসে' বলেও এদিন তোপ দাগেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা। নয়া আইন কৃষক স্বার্থবাহী বলে দাবি করছে মোদী সরকার। যা নস্যাৎ করেছেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর কথায় এই কৃষি আইনের দরুন ফসলের মজুতদারি বাড়বে। এদিন মহাপঞ্চায়েত তিনি বলেন, 'মজুতদারির বিরুদ্ধে ১৯৫৫ সালে জওহরলাল নেহেরু আইন তৈরি করেছিলেন। কিন্তু বিজেপি সরকার সেই আইন বাতিল করেছে। নয়া আইনের ফলে মধ্যসত্ত্বভোগীদের রমরমা হবে। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের দাম নির্ধারণ করবে মধ্যসত্ত্বভোগীরা।'
কেন্দ্রীয় তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে প্রায় তিন মাস ধরে দিল্লি সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভে বসে রয়েছেন চাষীরা। উল্টোদিকে মোদী সরকারের দাবি এই তিন আইনের ফলে কৃষকদের যুগান্তকারী উন্নতি হবে। তাঁদের আয় কয়েকগুণ বাড়বে। ফলে আইন সংশোধন হলেও তা বাতিল করা হবে না। দু'পক্ষেই অনড় থাকায় কেন্দ্র-কৃষক ইউনিয়ানগুলোর একাধিক বৈঠকেও কোনও সমাধানসূত্রে বেরোয়নি। এই পরিস্থিতিতে, বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, 'কৃষক আন্দোলন পবিত্র কিন্তু আন্দোলনজীবীরা স্বার্থপর হলে কী হয় তা গোটা দেশ দেখছে। এদের থেকে ভারতকে বাঁচাতে হবে।'
কৃষকদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস। মোদী সরকার যতদিন না চাষীদের দাবি মেনে তিন কৃষি আইন বাতিল করছেন ততদিন কংগ্রেস লড়াই চালিয়ে যাবে বলে দাবি করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।
এক বছর পরই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট। তার আগে কৃষকদের স্বার্থদের মন জয়ে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে হাত শিবির। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে কৃষকদের একাধিক মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করেছে কংগ্রেস। সাহারানপুরে যার প্রথমটি হয় বুধবার। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সেখানেই বক্তব্য রাখেন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন