Advertisment

অমাবস্যায় সঙ্গমে পবিত্র স্নান প্রিয়াঙ্কার, গঙ্গাবক্ষে চালালেন নৌকাও

তিনি ফেরার পথে আরাধনা অনাথ আশ্রম পরিদর্শন করেন। বাচ্চাদের কোলে তুলে নিয়ে আবাসিকদের সঙ্গে কথাও বলেন কংগ্রেস নেত্রী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মৌনী অমাবস্যায় সঙ্গমে পবিত্র স্নান করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এলাহাবাদে কংগ্রেস নেত্রী সারলেন পুজোও। এদিন সকালে সঙ্গমে পৌঁছন কংগ্রেস নেত্রী। বৃহস্পতিবার জানান উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের আহ্বায়ক লালন কুমার। এদিন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, তাঁর বোন কংগ্রেস বিধায়ক আরাধনা মিশ্রকে সঙ্গে নিয়ে সঙ্গমে পৌঁছন। পবিত্র স্নান সেরে ফেরার পথে নৌকায় ফেরেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এদিন তাঁকে মাঝিকে সঙ্গত দিতে দেখা গিয়েছে।

Advertisment

এদিন তিনি ফেরার পথে আরাধনা অনাথ আশ্রম পরিদর্শন করেন। বাচ্চাদের কোলে তুলে নিয়ে আবাসিকদের সঙ্গে কথাও বলেন কংগ্রেস নেত্রী। এদিন জওহরলাল নেহেরুর স্মারকস্থল পরিদর্শন করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রপিতামহকে। এখানেই সঙ্গমে বিসর্জনের আগে রাখা ছিল দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর অস্থিভস্ম।

আনন্দ ভবন একদা নেহেরু পরিবারের বাসভবন ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেই ভবন এখন মিউজিয়ামে পরিণত করা হয়েছে। প্রদর্শিত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস। বুধবার শাহরানপুরে একটি জনসভা করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এই এলাকায় কংগ্রেসের পুরনো ভিত ফিরে পেতে এই সভা-সমাবেশ। বছর ঘুরলেই সে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তাই এখন থেকে সাংগঠনিক শক্তি পরখে সক্রিয় প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

এদিকে প্রিয়াঙ্কা যখন এলাহাবাদে, তখন কৃষি আইন নিয়ে প্রতিবাদের সুর চড়ালেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার লোকসভায় চরম আক্রমণ করলেন কেন্দ্রকে। তাঁর দাবি, এই আইন কৃষক, ক্ষুদ্র, মাঝারি ব্যবসায়ী এবং মান্ডি প্রথাকে ধ্বংস করার জন্য তৈরি হয়েছে। তার সঙ্গে তাঁর তোপ, দেশ এখন চারজন চালাচ্ছে। তাঁদের মূলমন্ত্র হল, ‘হাম দো, হামারে দো’! বাজেট অধিবেশনে রাহুলের মন্তব্যের জেরে তুমুল হট্টগোল হয়। ট্রেজারি বেঞ্চ এবং সরকার পক্ষের সদস্যরা তীব্র বিরোধিতা করেন এই মন্তব্যের। অধ্যক্ষকে চাপ দেন তাঁরা, রাহুলকে বক্তব্য বন্ধ রাখার জন্য।

যদিও এদিন রাহুল বলেছেন, তিনি শুধু কৃষকদের স্বার্থের কথাই সংসদে বলবেন। যা কেন্দ্র আলাদা ভাবে আলোচনা করতে চাইছে না। হট্টগোলের মধ্যেই রাহুল বলেন, “তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তে কৃষকরা আন্দোলন করছেন। এই আইন মান্ডি প্রথা, নিত্য প্রয়োজনীয় আইনকে ধ্বংস করা এবং দেশের কর্পোরেটদের হাতে কৃষি ফসল তুলে দেওয়ার চক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছিলেন, বিরোধীরা আইনের বিষয়বস্তু এবং উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করছেন না। আমি আজ বলতে চাই। আমি বিলের বিষয়বস্তু নিয়ে বলতে চাই। চারজন দেশ চালাচ্ছে। সেটা সবাই জানে তাঁরা কারা!” এরপরই পরিবার নিয়োজনের বিখ্যাত সেই স্লোগান ‘হাম দো, হামারে দো’ তোলেন।

রাহুল এদিন তিনটি আইনকে নিজের মতো করে বিশ্লেষণ করেন সংসদে। বলেন, প্রথম আইন হল কৃষকদের ফসল কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। দ্বিতীয়টা হল, সমগ্র শস্য আরেক কর্পোরেট বন্ধুর গুদামে মজুত হবে। আর তৃতীয় আইনে, কৃষকদের আদালতে যাওয়ার পথ বন্ধ করে কর্পোরেটদের শস্য বিক্রির পথ মসৃণ করা। রাহুল এদিন বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কৃষকদের কাছে এটা একটা সুযোগ। কিন্তু কৃষকদের কাছে এখন কোন সুযোগ রয়েছে ক্ষুধা, বেকারত্ব ও আত্মহত্যা করা ছাড়া?”

Priyanka Gandhi Allahabad Sangam
Advertisment