মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের মধ্যেই সিএএ ইস্যুতে রক্ত ঝরল দিল্লিতে। সিএএপন্থী ও বিরোধীদের সংঘর্ষে মৃত্যু হল দিল্লি পুলিশের এক হেড কনস্টেবলের। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে তিনজন সাধারণ নাগরিকেরও। এক ডিসিপি-সহ কমপক্ষে ৩৭ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। আহতদের জিটিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া কেন্দ্রীয় জনসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্কের কাছে অবেদন জানিয়েছেন যে উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসা কবলিত এলাকায় যেন মঙ্গলবারের বোর্ড পরীক্ষা মুলতুবি করা হয়। তবে জনসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, মঙ্গলবার কোনো নির্ধারিত পরীক্ষা নেই।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষণ রেড্ডি অভিযোগ করেছেন যে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের সময়কাল মাথায় রেখেই সংঘটিত হয়েছে এই হিংসা। একই অভিযোগ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র তথা সাংসদ মীনাক্ষী লেখি। অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী শান্তির আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন: শাহিনবাগ নিয়ে আদালতে মধ্যস্থতাকারীদের রিপোর্ট জমা, পিছল শুনানি
রবিবার রাত থেকেই সিএএ বিরোধী ও সিএএ সমর্থনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্ব দিল্লির মৌজপুর এলাকা। সোমবার সিএএ বিরোধী ও সিএএ সমর্থনকারী আন্দোলনকারীদের মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়ি হয়। পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
মৌজপুর বাবরপুর মেট্রো স্টেশনের সামনে পাথর ছোড়াছুড়ি হয়ে বলে খবর। যমুনা বিহার এলাকায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগানোরও অভিযোগ উঠেছে। জাফরাবাদ ও মৌজপুরে কমপক্ষে ২টি বাড়ি ও দমকলের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর।
জাফরাবাদ ও মৌজপুর-বাবরপুর মেট্রো স্টেশনের এন্ট্রি গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই স্টেশনগুলোতে ট্রেন দাঁড়াচ্ছে না। দিল্লি মেট্রোর তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার ওই একই এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সিএএ সমর্থনকারীদের নিয়ে মৌজপুর-বাবরপুর মেট্রো স্টেশনের কাছে জড়ো হয়েছিলেন দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। ওই এলাকা থেকে ২ কিমি দূরেই জাফরাবাদে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভস্থল। শনিবার রাত থেকে কমপক্ষে ৫০০ জন সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ উত্তর-পূর্ব দিল্লির জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনের সামনে আচমকা কয়েকশ মহিলা এসে জড়ো হন। তাঁদের মাথায় নো এনআরসি’ লেখা টুপি, হাতে জাতীয় পতাকা ও মুখে ‘আজাদি’র স্লোগান ছিল। বেশ কিছুক্ষণ রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বিরোধী স্লোগান দেওয়ার পর সেখানে অবস্থানে বসে পড়েন তাঁরা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন