ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে (বিভিআই) নিবন্ধিত দুটি বিদেশি 'শেল' কোম্পানি আদানির শেয়ারে বিনিয়োগ করেছে। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। আদানি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত বিদেশি কর্পোরেট পরিষেবা প্রদানকারী ট্রাইডেন্ট ট্রাস্টের রেকর্ড ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সুবাদে প্রকাশিত হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টের সঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এই পান্ডোরা পেপারস তদন্তে যোগ দিয়েছে।
Advertisment
বিদেশি বিনিয়োগকারী ফিনান্সিয়াল টাইমসের সাহায্যে গ্লোবাল সাংবাদিকদের সংগঠন অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং নেটওয়ার্ক তথ্যগুলো হাতে পেয়েছে। তাতে জান গিয়েছে, এই সব সংস্থাগুলির পিছনে থাকা দুই ব্যক্তি আদানি গ্রুপের চেয়ারপারসন গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির সহযোগী ছিলেন। সেই দুই ব্যক্তি হলেন আরব আমিরশাহির নাগরিক নাসের আলি শাবান আহলি ও তাইওয়ানের চ্যাং চুং-লিং।
শেল কোম্পানি একটি শেল কোম্পানি এমন একটি ব্যবসা, যা তহবিল ধরে রাখতে এবং অন্য সংস্থার আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করার জন্য তৈরি করা হয়। সাধারণ সংস্থার সঙ্গে তুলনা টানলে বলতে হয়, শেল কোম্পানির কর্মচারী থাকে না। তারা বেশি অর্থ রোজগার করে না। গ্রাহকদের পণ্য বা পরিষেবাও দেয় না।
এটা কেন অপরাধ দুই বিদেশির মধ্যে আমিরশাহির আহলি গাল্ফ এশিয়া ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের মাধ্যমে যাবতীয় কাজকারবার চালিয়েছে। আর, তাইওয়ানের চ্যাং লিঙ্গো ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের মাধ্যমে এই বিনিয়োগ করেছে। আদানি স্টক সংগ্রহ এবং বাণিজ্য করার জন্য অজানা উত্স থেকে তহবিল বা বিনিয়োগ এই বিদেশি সংস্থাগুলোর মাধ্যমে হয়েছে। তবে, সরাসরি নয়। ফিনান্সিয়াল টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বিভিআই শেল কোম্পানিগুলো ইমার্জিং ইন্ডিয়া ফোকাস ফান্ড (মরিশাস), ইএম রিসারজেন্ট ফান্ড (মরিশাস), গ্লোবাল অপারচুনিটি ফান্ড (বারমুডা)-এর মাধ্যমে অর্থ লগ্নি করেছিল। এই বিদেশি সংস্থাগুলোর আদানির কোম্পানিতে বিনিয়োগের অর্থই হল, আদানির সংস্থাগুলো প্রোমোটার শেয়ারহোল্ডিংয়ের জন্য সেবি নির্ধারিত ৭৫% বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা লঙ্ঘন করেছে।