‘ভুয়ো’ এনকাউন্টার নিয়ে আবারও বিড়ম্বনার মুখে পড়ল গুজরাত পুলিশ। মোদী রাজ্যে তিনটি এনকাউন্টার ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করেছে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হরজিত সিং বেদির রিপোর্ট। সমীর খান পাঠান, হাজি ইসমাইল, কাসিম জাফের এনকাউন্টার ‘ভুয়ো’ বলে রিপোর্টে দাবি করেছেন বেদি। এ ব্যাপারে সে রাজ্য সরকারের হাতে রিপোর্ট তুলে দিয়েছেন ওই বিচারপতি।
বেদির রিপোর্টে ভুয়ো এনকাউন্টারে যেসব পুলিশ আধিকারিকদের কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে, তার মধ্যে নাম রয়েছে অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক তরুণ ব্যারট ও কে এম ভাঘেলার। দু’জনেই সাদিক জামাল মেহতার এনকাউন্টার মামলায় বিচারাধীন। পাশাপাশি ইশরত জাহান এনকাউন্টার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ব্যারট।
আরও পড়ুন, সাংবাদিক খুনে অপরাধী সাব্যস্ত রাম রহিম ও তার তিন শিষ্য
গোধরা দাঙ্গা পরবর্তী সময়ে প্রথম এনকাউন্টার হয়েছিল সমীর পাঠানের। ২০০২ সালের অক্টোবরে ওই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছিল, দাঙ্গায় মুসলিমদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার ছক কষেছিলেন পাঠান। ডিসিবি-র আধিকারিকরা এই এনকাউন্টারের পিছনে ছিলেন। ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস ডি ডি বানজারা। যিনি ইশরত জাহান এনকাউন্টার মামলাতেও অভিযুক্ত। ডিসিবির তরফে দাবি করা হয়েছিল, পাঠান জইশ-এ-মহম্মদের জঙ্গি ছিলেন।
অন্যদিকে, হাজি ইসমাইল ‘ভুয়ো এনকাউন্টার’ নিয়ে বেদির রিপোর্টে অভিযুক্ত করা হয়েছে, পুলিশ আধিকারিক কে জি এরদা, জে এম যাদব, এস কে শাহ, পরাগ ব্যস, এলবি মনপারাকে। ২০০২ সালে গুলবার্গ সোসাইটি গণহত্যায় অভিযুক্ত ছিলেন এরদা। পরে তাঁকে বেকসুর খালাস করা হয়।
২০০৬ সালে কাসিম জাফের এনকাউন্টার মামলায় পুলিশ রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে পথ দুর্ঘটনার কথা বলা হয়েছিল। বিচারপতি বেদির রিপোর্টে বলা হয়েছে, জাফেরের মৃত্যুর জন্য দায়ী ডেপুটি পুলিশ সুপার জে এম ভরওয়াদ, কনস্টেবল গণেশভাই। রিপোর্টে এও উল্লেখ করা হয়েছে, দু’জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা উচিত।
Read the full story in English