জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই দিল্লির পুলিশ মহলে শুরু হয়েছে তৎপরতা। গত বছর ১৫ ডিসেম্বরে জামিয়ায় হিংসার ঘটনায় গত সপ্তাহেই প্রকাশ্যে এসেছে পুলিশি নির্যাতনের ভিডিও। সেই তদন্তে এবার সেদিনে উপস্থিত পুলিশ বাহিনীর ডিউটি রোস্টার নিয়েই তদন্ত শুরু করল বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুসারে, এই পুলিশি পদক্ষেপের ফলে ২.৬৬ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আরও পড়ুন: ভারত, আমেরিকার পাশে থেকে জঙ্গি দমনে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা চিনের
যদিও দিল্লি পুলিশ প্রকাশ্যে আসা ওই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করে জানিয়েছে ভিডিও-টি সম্পাদিত। খাকি উর্দিধারীরা জানিয়েছেন যে দাঙ্গাকারীদের তাড়া করতেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছিল। সোমবার, বিশেষ পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম ব্রাঞ্চ) প্রবীর রঞ্জন বলেছিলেন, ১৫ ডিসেম্বর হিংসার এই ঘটনায় তদন্তকারী ঘটনার ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার জন্য সমস্ত ভিডিও বিশ্লেষণ করবে। তিনি বলেন, “ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়ে গেলে আমরা ঘটনায় জড়িত সকলকে চিহ্নিত করব এবং আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে"।
আরও পড়ুন: ‘তাপস পালের মৃত্যুর জন্য দায়ী মমতাই’
যদিও ডিসেম্বরে ঘটনাটি সামনে আসার পর সেভাব কোনও পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও সম্প্রতি ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় পুলিশের অন্দরমহলে। সূত্রগুলি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে যে বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব জেলার দুটি থানার পুলিশ কর্মীরা ক্রাইম ব্রাঞ্চের কাছে এসে তারা কোথায় অবস্থান করছিল সে সম্পর্কে বিশদ বিবরণ জমা দিয়েছেন। সূত্র জানিয়েছে, "এখন পর্যন্ত আমরা ১৫ ডিসেম্বর মোতায়েন করা সমস্ত পুলিশ কর্মীর তথ্য সংগ্রহ করছি এবং পরে ফুটেজে দেখা কর্মী সনাক্ত করব।"
Read the full story in English