রাহুল গান্ধী তখন কংগ্রেসের উপ সভাপতি। সালটা ২০১৩। ফেব্রুয়ারি মাসে রাহুল এবং বোন প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে জিগনেশ শাহের একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী রাহুল-প্রিয়াঙ্কার দিল্লির একটি ফার্ম হাউজ ভাড়া দেওয়া হয় জিগনেশ শাহের সংস্থা এফটিআইএল (ফিনান্সিয়াল টেকনোলজি ইন্ডিয়া লিমিটেড)-কে। চুক্তি চলাকালীন ইউপিএ সরকার তদন্ত করছিল ন্যাশনাল স্পট এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (এনএসইএল) নামে অন্য এক সংস্থার। ঘটনাচক্রে এই সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে এফটিআইএল-এর। আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগেই তদন্ত চলছিল।
২০১৩ সালের জুলাই মাসে জনসমক্ষে আসে এনএসইএল কেলেঙ্কারির কথা। নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য সংস্থাকে শো কজ করার ১০ মাস পরে ফার্ম হাউজ নিয়ে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা বঢরার সঙ্গে চুক্তি হয় জিগনেশ শাহের। চুক্তির মেয়াদ ফুরোয় ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে।
কংগ্রেস এবং এনএসইএল এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে নিয়মমাফিক লেনদেনই হয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফ থেকে প্রশ্ন করা হলে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের ইউপিএ সরকার এবং মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকার এফটিইএল সংস্থার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করেছে। জিগনেশকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ২০১৩-এর নভেম্বরে ইডি-র পক্ষ থেকে সংস্থাকে চিঠি লিখে গান্ধী পরিবারের সঙ্গে চুক্তি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানতে চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন, রবার্ট ভাদরার ঘনিষ্ঠ মহলে ইডি-র ‘বেআইনি’ হানায় চরম ক্ষুব্ধ কংগ্রেস
মেহরউলিতে ইন্দিরা গান্ধীর ফার্ম হাউজ ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে মাসিক ৬.৭লক্ষ টাকা ভাড়ায় ১১ মাসের জন্য চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছিল।
সংস্থার পক্ষ থেকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানানো হয়েছে এফটিইএল রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কাকে দু ভাগে ২০.১০ লক্ষ টাকা করে মোট ৪০.২০ লক্ষ টাকার চেক দিয়েছিল। সংস্থার অতিথি নিবাস হিসেবে ওই ফার্ম হাউজ ব্যবহার করা হত বলে জানানো হয়েছে। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুর্জেওয়ালা জানিয়েছেন, "১৯৬০ এ এই সম্পত্তি কিনেছিল গান্ধী পরিবার। জিগনেশ শাহ, তার সংস্থার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সঙ্গে রাহুল, প্রিয়াঙ্কা কিমবা সনিয়া গান্ধীর কোনও যোগ নেই"।
ইডি-র তদন্তে আর্থিক তছরুপ প্রসঙ্গে উঠে এসেছে প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরার নাম।
কেন্দ্রের ক্রেতা সুরক্ষা দফতর থেকে এনএসইএল কে শো কজ করা হয়েছিল ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে। পরবর্তী ১৫ মাস কোনো জবাব মেলেনি এনএসইএল এর পক্ষ থেকে। অন্যদিকে এফটিইএল আবার আর্থিক তছরুপের জন্য দায়ী করেছে এনএসইএল একজিকিউটিভকেই। ১৩০০০ বিনিয়োগকারীকে যে ৫৬০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা এনএসইএল এর, তা দেওয়া হয়নি।
Read the full story in English