Advertisment

দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজে গম্ভীরের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের! কী করেছেন এই সাংসদ?

আদালতের মন্তব্য, ‘কোন রাজনৈতিক নেতা যদি বিজ্ঞাপন দেন বিনামূল্যে ওষুধ দেবে, সেগুলো তারা কোথা থেকে পেয়েছে?’

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

করোনার গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ ফাবিফ্লু কীভাবে সংরক্ষণ করল গৌতম গম্ভীর? সেই প্রশ্নের জবাব চেয়ে দিল্লি ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগকে তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। করোনা চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ এই ওষুধের সরবরাহ অপর্যাপ্ত। তার মধ্যেই বিজেপি সাংসদ গম্ভীর, কীভাবে এই ওষুধ হাতে পেল? সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট।

Advertisment

গম্ভীরের তরফে কোর্টকে জানানো হয়েছিল, জনসেবায় সৎ উদ্দেশে এই ওষুধ তারা সংরক্ষণ করেছিল। সেই জবাবের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বলেছে, সেই বিষয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু এই সঙ্কট মুহূর্তে এমন একটা ওষুধ সংরক্ষণ করা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়।

এদিকে, রাজনৈতিক নেতারা করোনার ওষুধ জমা করতে পারবে না। গত সোমবার এই মন্তব্য দিল্লি হাইকোর্টের। ইতিমধ্যে যাদের কাছে করোনার ওষুধ আছে, তারা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে জমা করুন।

আদালতের মন্তব্য, ‘কোন রাজনৈতিক নেতা যদি বিজ্ঞাপন দেন বিনামূল্যে ওষুধ দেবে, সেগুলো তারা কোথা থেকে পেয়েছে?’

কোভ্যাক্সিন টিকা ব্রিটেন এবং ভারতীয় স্ট্রেনের উপর দারুণ কার্যকর। রবিবার এমনটাই জানাল নির্মাতা সংস্থা ভারত বায়োটেক। সাম্প্রতিক একটি গবেষণার পর সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, দুই ধরনের ভয়ঙ্কর করোনার স্ট্রেনের উপর কাজ করছে কোভ্যাক্সিন। এই গবেষণার বিষয়ে তারা একটি মেডিক্যাল জার্নালে উদ্ধৃত ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন।

উল্লেখ্য, হায়দরাবাদের এই সংস্থা B.1.617 এবং B.1.1.7 ভ্যারিয়েন্টের উপর কার্যকর বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। এই দুটি ভ্যারিয়েন্ট হল ভারতীয় এবং ব্রিটিশ। এই দুই দেশেই প্রথমে এই স্ট্রেন পাওয়া যায়। এই গবেষণাটি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ যৌথভাবে করেছে। ভারত বায়োটেকের সহ-কর্ণধার এবং সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুচিত্রা এল্লা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, “কোভ্যাক্সিন আরও একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল। এই টিকার মুকুটে আরও একটি পালক জুড়ল।”

এদিকে, দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েকদিনে কিছুটা কমলেও সংক্রমণের হার এখনও অনেকটাই। এই আবহে ফের লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নতুন ঘোষণা অনুসারে আগামী ২৪ মে পর্যন্ত লকডাউন চলবে রাজধানীতে।

মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, “লকডাউন করে আমরা ভাল ফল পেয়েছি। কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় এ ভাবে যতটা সাফল্য মিলেছে, তা আমরা হারাতে চাই না। যে কারণে আরও এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। আগামী ২৪ মে ভোর ৫টা পর্যন্ত এই লকডাউন কার্যকর থাকবে”।

Gautam Gambhir Corona India
Advertisment