ভারতীয় বিমানবাহিনীর মালপত্র থেকে যাতায়াত-সহ নানাক্ষেত্রে পরিবহণের জন্য গুজরাটে ভাদোদরায় তৈরি হতে চলেছে সি-২৯৫ বিমান। রবিবার এজন্য নতুন কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যাদের তৈরি পণ্যের ব্যাপক ব্যবহার হয়, সেই এয়ারবাস সংস্থা টাটা কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে এই বিমান তৈরি করবে। দেশের অভ্যন্তরে বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে যা নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। এমনটাই বিশ্বাস মোদী সরকারের।
এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রতিরক্ষাসচিব অজয় কুমার। তিনি জানিয়েছেন, ভাদোদরার কারখানা থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার চাহিদা যেমন পূরণ করা হবে। তেমনই বিদেশেও বিমান রফতানি করা হবে এই কারখানা থেকে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে, ভারত এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস সংস্থার সঙ্গে ২১ হাজার কোটি টাকার একটি চুক্তি করেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী ওই সংস্থার থেকে ৫৬টি সি-২৯৫ বিমান কিনবে কেন্দ্র।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর অভ্র-৭৪৮ বিমানগুলো বেশ পুরোনো হয়ে গিয়েছে। ওই সব বিমানেই এখনও সেনার মালপত্র থেকে জওয়ানদের পরিবহণের কাজ চলছে। কিন্তু, পুরোনো ওই সব বিমান চালানো আর যুক্তিযুক্ত মনে করছে না বিমানবাহিনী। কারণ, তাতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এনিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তার বক্তব্য জানিয়েছে। সেই কারণে, এই নতুন বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার।
গত বছর হওয়া চুক্তির ভিত্তিতে এয়ারবাস চার বছরের মধ্যে স্পেনের সেভিলে তার কারখানা থেকে প্রথম ১৬টি বিমান সরবরাহ করবে। পরবর্তীতে ৪০টি বিমান ভারতে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস সংস্থা (TASL) তৈরি করবে। আর, উৎপাদিত যন্ত্রপাতি জুড়ে পূর্ণমাত্রায় বিমানের রূপ দেবে। এয়ারবাস ও টাটা কোম্পানির মধ্যে অংশীদারিত্বের চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী এই কাজ হবে।
আরও পড়ুন- ভোটের মুখে হিমাচলে বিদ্রোহে জেরবার বিজেপি, সামলাতে ব্যর্থ জয়রাম ঠাকুর-নাড্ডারা
এই ধরনের প্রকল্প দেশে প্রথম। এই প্রকল্পে কোনও বেসরকারি সংস্থা ভারতে প্রথমবার সামরিক বিমান তৈরি করবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২১,৯৩৫ কোটি টাকা। শুধু সামরিক ক্ষেত্রেই নয়। এই সব বিমান অসামরিক ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যাবে। প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার জানিয়েছেন এই বিমানে দেশীয় সামগ্রী থাকলেও গুণগত মান হবে অত্যন্ত উচ্চমানের। স্পেনে এয়ারবাস যে কাজটি করে, সেই একই কাজের ৯৬ শতাংশ এবার থেকে ভারতের ভাদোদরার কারখানায় হবে। তবে, এখানে বিমানের ইঞ্জিনটি তৈরি হবে না-বলেই অজয় কুমার জানিয়েছেন।
Read full story in English