প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে তাণ্ডবের জেরে এক ঝটকায় বদলে গিয়েছে কৃষক আন্দোলনের গতিপথ। যাঁরা এতদিন কৃষকদের পাশে ছিলেন, তাঁরাও সেই হিংসার পর দূরে সরে যাচ্ছেন কৃষক আন্দোলন থেকে। গত মঙ্গলবার প্রায় ১২০০ কৃষক ৩০-৪০টি ট্রাক্টর এবং ১৫০ মোটরবাইক-গাড়িতে চেপে চড়াও হয় লালকেল্লায়। পুলিশকর্মীদের তাড়া করা, মারধর, দাঙ্গা-প্রতিরোধক সরঞ্জাম লুঠ, টিকিট কাউন্টার ভাঙচুর করে তারা। এমনটাই উল্লেখ দিল্লি পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে।
ট্রাক্টর মিছিলের হিংসাত্মক ঘটনার জেরে অন্তত ৩৩টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীরা পুলিশকর্মীদের কাছ থেকে এসপি৫ বন্দুক ও এসএলআর ছিনিয়ে নেয়। ৪০টির মতো কার্তুজও লুঠ করে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ২০০টি ট্রাক্টর ও তাদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পরিবহণ দফতরের সাহায্য নিয়ে তাদের মালিককে নোটিস পাঠানো হয়েছে। পুলিশর দাবি অনুযায়ী, সেদিনের হিংসার ঘটনা পূর্ব-পরিকল্পিত ছিল। নিরাপত্তারক্ষীদের মারধর এবং ঐতিহাসিক সৌধে হামলা চালানোর মামলা রুজু হয়েছে।
আরও পড়ুন গাজিপুরে রাতভর চরম উত্তেজনা, কৃষক-পুলিশ ধস্তাধস্তি, জীবন বাজির হুমকি প্রতিবাদীদের
যে ৩৩টি এফআইআর দায়ের হয়েছে তার মধ্যে ৯টির তদন্ত করবে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এমনটাই জানিয়েছেন অতিরিক্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনিল মিত্তল। ৪৪ জন কৃষক নেতার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি হয়েছে। অভিযুক্তদের সম্পর্কে খোঁজখবর করতে কৃষক সংগঠনগুলিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন