ফের জনরোষের মুখে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষে। শনিবার বেলা গড়াতেই বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের বাড়ি ঘিরে ফেলে। হামলাও চালায় প্রেসিডেন্টের বাড়ি লক্ষ্য করে। তবে, গোটাবায়া সেই সময় বাড়িতে না থাকায় রক্ষা পেয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ বাধা দিলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রবল ধস্তাধস্তি হয়। সংঘর্ষে ২ পুলিশ কর্মী সহ মোট ৭ জন গুরুতর জখম হয়েছেন।
দুপুর নাগাদ বিক্ষোভকারীরা কলম্বো ফোর্টের চাথাম স্ট্রিটে থাকা পুলিশ ব্যারিকেড টপকে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনের দিকে এগিয়ে যায়। পুলিশ বাধা ওই বিক্ষোভের সামনে যথেষ্ট ছিল না। বিক্ষোভকারীদের সরাতে লঙ্কার পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। গুলিও ছোড়া হয়। কিন্তু তাতেও দমাতে পারা যায়নি বিক্ষোভকারীদের।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দুটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে যে, সপ্তাহান্তে পরিকল্পিত সমাবেশের আঁচ করেই রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপক্ষকে শুক্রবার রাতেই তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে সরিয়ে নেয় নিরাপত্তা বাহিনী।
বিক্ষোভকারীরা তাঁদের কার্যকলাপ ফেসবুকে লাইভ করেছে। ভিডিও ক্লিপগুলিতে দেখা যাচ্ছে যে, আন্দোলনকারীরা রাজপক্ষের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেনষ। সেই স্লোগানের তীব্রতা কয়েকগুণ বাড়ছে যখন তাঁরা প্রেসিডেন্ট হাউসে ঢুকে পড়েছে এবং করিডোর দিয়ে মিছিল করছে। বাইরে কোনও নিরাপত্তা রক্ষীকে না দেখতে পেয়ে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী প্রেসিডেন্ট হাউসের মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।
গত কয়েক মাস ধরেই ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন শ্রীলঙ্কা। জনরোষে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে মহিন্দা রাজাপক্ষকে সরতে হয়েছে। ভারত প্রভূত সাহায্য পাঠিয়েছে। কিন্তু, অবস্থার তেমন বদল হয়নি। স্বাধীনতার পর শোচনীয় হাল দ্বীপরাষ্ট্রের। এই অবস্থায় শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার কলম্বোয় গণবিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছিল। ওই বিক্ষোভে যোগ দিতে শ্রীলঙ্কার নানা অংশ থেকে মানুষ কলম্বোয় জড়ো হয়েছেন।
শনিবারের গণবিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশ শুক্রবার রাতে রাজধানীতে কারফিউ জারি করেছিল। তবে বিরোধী দল ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর চাপে এ দিন সকালে পুলিশ কারফিউ প্রত্যাহার করে নেয়।