Advertisment

'বিপজ্জনক ব্যক্তিদের স্বাধীনতা খর্ব হতেই পারে', কেজরির বাড়িতে হামলা-মামলায় পর্যবেক্ষণ কোর্টের

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়িতে বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন বলে মনে করে আদালত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Protesters who targeted Kejriwal’s home ‘exceeded fundamental right to peacefully protest’, says Court

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির বাইরে বিজেওয়াইএম সমর্খকদের এমনই ভিড় ছিল সেদিন।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়িতে হামলার অভিযোগে ধৃত ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা (বিজেওয়াইএম)-র আট কর্মীর জামিন খারিজ করল দিল্লির আদালত। গত ৩০ মার্চ অরবিন্দ কেজরিয়ালের বাড়িতে হামলা চালায় একদল উন্মত্ত জনতা। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা বেস্টনী পেরিয়ে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকজন। কেজরির বাড়ির গেটে রং লেপে দেওয়া হয়। এদিন আদালত ধৃতদের জামিন খারিজ করে মামলার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে কেউ বিপজ্জনক হয়ে উঠলে সমাজ কাউকে দেওয়া স্বাধীনতা প্রত্যাহার করে নিতে পারে।

Advertisment

এদিন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক নবীন কুমার কাশ্যপ কেজরির বাড়িতে হামলায় ধৃত আট অভিযুক্তের জামিন খারিজ করে তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ''প্রাথমিক দৃষ্টিতে এটা স্পষ্ট যে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার মৌলিক অধিকার তাঁরা জেনে বুঝে বা ইচ্ছাকৃতভাবেই সেদিন লঙ্ঘন করেছিলেন। কোনও ব্যক্তিরই স্বাধীনতা নিরঙ্কুশ নয়।''

এদিন এক অভিযুক্তের তরফে প্রবীণ আইনজীবী কীর্তি উৎপল তাঁর সওয়ালে বলেন, ''এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। পুলিশ কোনও নোটিশ দেয়নি। সরাসরি অভিযুক্তকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাউকে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্যই ছিল না। কেবল একটি বিক্ষোভ হয় যা সংবিধানের অধীনে প্রতিটি নাগরিক এবং রাজনৈতিক দলের অধিকারের মধ্যেই পড়ে।"

আরও পড়ুন- ইডি-র স্ক্যানারে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ৪.৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

যদিও আইনজীবীর সেই বক্তব্যে আমল না দিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ''একজন ব্যক্তি যদি সামাজিক শৃঙ্খলার জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠেন তখন সমাজ তাঁকে যে স্বাধীনতা দিয়েছে তা প্রত্যাহার করতেই পারে। সমাজ সবার কাছ থেকেই দায়িত্বজ্ঞান এবং জবাবদিহিতা আশা করে। নাগরিকদের আইন মেনে চলা উচিত।''

উল্লেখ্য, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে কার্যত তাণ্ডব চালায় কয়েকশো বিক্ষোভকারী। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান দরজার সামনে ভাঙচুর চালায় উন্মত্ত জনতা। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়িতে ‘হামলা’র বিষয়ে পুলিশকে দু’সপ্তাহের মধ্যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমার নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টও।

Read full story in English

delhi court Arvind Kejriwal Delhi CM bjp
Advertisment