Advertisment

শবরীমালায় ঢুকতে ফের ‘বাধা’ দুই মহিলাকে

বুধবার পর্বত সঙ্কুল পথ পেরিয়ে মন্দির দর্শনে পা বাড়িয়েছিলেন দুই মহিলা। মন্দির দর্শন করে ফেরার সময় মহিলাদের মাঝপথে দেখে তাঁদের পথ আটকান একদল পুরুষ তীর্থযাত্রী। বিক্ষোভের আঁচে পুলিশি নিরাপত্তা কাজেই আসেনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
sabarimala, শবরীমালা

‘আয়াপ্পা’ দর্শনে গিয়ে আবারও বাধার মুখে পড়তে হল দুই মহিলাকে। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

শবরীমালা নিয়ে বিক্ষোভ যেন থামছেই না কেরালায়। ‘আয়াপ্পা’ দর্শনে গিয়ে আবারও বাধার মুখে পড়তে হল দুই মহিলাকে। যে ঘটনায় নতুন করে আবারও অশান্তি ছড়াল দক্ষিণের সে রাজ্যে। বুধবার পর্বত সঙ্কুল পথ পেরিয়ে মন্দির দর্শনে পা বাড়িয়েছিলেন দুই মহিলা, যাঁদের বয়স পঞ্চাশের কম। মন্দির দর্শন করে ফেরার সময় মহিলাদের মাঝপথে দেখে তাঁদের পথ আটকান একদল পুরুষ তীর্থযাত্রী। বিক্ষোভের আঁচে পুলিশি নিরাপত্তা কাজেই আসেনি। শেষমেশ বাধ্য হয়েই মন্দির দর্শনে পিছু হঠেন ওই দুই মহিলা।

Advertisment

রেশমা নিশান্ত ও শানিলা সাজেশ নামের দুই মহিলা আগেই জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা শবরীমালা মন্দির দর্শনে যাবেন। সেই মোতাবেক এদিন ভোর ৪টে নাগাদ পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে যাত্রা শুরু করেন তাঁরা। মন্দির যাওয়ার পথে তাঁদেরকে দেখেন একদল পুরুষ তীর্থযাত্রী। যাঁরা ওই পথেই মন্দির দর্শন করে ফিরছিলেন। দুই মহিলাকে মন্দির যাওয়ার পথে দেখতে পেয়ে ওই তীর্থযাত্রীর দল তাঁদের পথ আটকায়। এরপরই তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়।

আরও পড়ুন, বাড়ি ফিরে স্বামীর পরিবারের হাতে নিগ্রহের অভিযোগ শবরীমালায় প্রবেশকারী কণকদুর্গার

মুহূর্তের মধ্যেই নীলিমালা এলাকায় জড়ো হন আরও পুণ্যার্থীরা। ভবিষ্যতে যাতে আর তাঁরা আয়াপ্পা দর্শনে না যান, কার্যত সেই প্রতিশ্রুতি করতে বাধ্য করা হয় ওই দুই মহিলাকে। এদিকে, পুলিশ থাকলেও বিক্ষোভ প্রশমিত করতে পারেনি। বরং বিক্ষোভের আঁচে পিছু হঠে পুলিশ।

শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে যুগান্তকারী রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু শীর্ষ আদালতের রায়ের পরও মন্দিরে ঢুকতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন মহিলারা। এমনকি, এ নিয়ে অশান্তির আগুনে জ্বলছে কেরালা।

অন্যদিকে, শ্বশুরবাড়ির হাতে নিগৃহীত হওয়ার অভিযোগ করেছেন শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশকারী দুই মহিলার অন্যতম কণকদুর্গা। মালপ্পুরম জেলার পেরিনথালমান্না থানায় শাশুড়ির বিরুদ্ধে তাঁকে লাঠি দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ দায়ের করেছেন কণকদুর্গা। পুলিশ সূত্রে খবর, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১ ও ৩২৪ ধারায় মমলা রুজু করা হয়েছে। ওই সূত্রের আরও দাবি, ‘আহত’ কণকদুর্গাকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল, এখন তিনি ভাল আছেন।

Read the full story in English

Sabarimala
Advertisment