Advertisment

ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে জন নিরাপত্তা আইন, দু বছর আটক রাখা হতে পারে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে

সুপ্রিম কোর্টে এমডিএমকে নেতা ভাইকো হেবিয়াস কর্পাস পিটিশন দাখিল করে ফারুক আবদুল্লাকে আদালতে হাজির করার আবেদন জানানোর পর এই পদক্ষেপ করল সরকার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Farooq Abdullah, ফারুক আবদু্ল্লা

ফারুক আবদু্ল্লা। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে কঠোর জন নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হল। এর জেরে তাঁকে দু বছর বা তার বেশি সময় পর্যন্ত আটক থাকতে হতে পারে। রবিবার পর্যন্ত জম্মু কাশ্মীরের অন্যতম রাজনৈতিক নেতা ফারুক আবদুল্লাকে শ্রীনগরে তাঁর নিজের বাড়িতে প্রতিষেধক মূলক ভাবে আটক রাখা হয়েছিল।

Advertisment

কাশ্মীরের সূত্র জানাচ্ছে, রবিবারই ফারুক আবদুল্লার আটককে জন নিরাপত্তা আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। তার আগে, এই আটক ছিল ফৌজদারি কার্যবিধি মোতাবেক।

কাশ্মীর প্রশাসনের এক সূত্র জানিয়েছে, "ফারুক সাবকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জন নিরাপত্তা আইনের আওতায় নিজের বাড়িতে আটক করে রেখেছে এবং তাঁর বাসভবনকে অতিরিক্ত কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আত্মীয় বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। গতকালই স্বরাষ্ট্র দফতরের উপদেষ্টামণ্ডলী জন নিরাপত্তা আইনে তাঁর আটক থাকার বিষয়টি অনুমোদন করেছে।"

আরও পড়ুন, জম্মু কাশ্মীর জন নিরাপত্তা আইন কী?

সুপ্রিম কোর্টে এমডিএমকে নেতা ভাইকো হেবিয়াস কর্পাস পিটিশন দাখিল করে ফারুক আবদুল্লাকে আদালতে হাজির করার আবেদন জানানোর পর এই পদক্ষেপ করল সরকার। সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট ভাইকোর আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্র ও রাজ্যকে নোটিস পাঠিয়েছে।

ন্যাশনাল কনফারেন্সের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জম্মু কাশ্মীরে জন নিরাপত্তা আইনে ফারুক আবদুল্লাকে আটক করার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রবীণ নেতা মহম্মদ আকবর লোনকে উদ্ধৃত করেছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। তিনি বলেছেন, "ওদের এরকম করার কোনও কারণ নেই। কিন্তু ওরা যদি ফারুকে বিরুদ্ধে জন নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করে, তাহলে আমরা কী করতে পারি। আমরা আদালতে যাব। আইনি ও সাংবিধানিক সাহায্য নেব।"

গত ৬ অগাস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে বলেন ফারুক আবদুল্লাকে আটক রাখা হয়নি।

গত ৫ অগাস্টের জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর, এই নিয়ে দ্বিতীয় কোনও রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে জন নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হল। প্রথম এ আইন প্রয়োগ করে আটক করা হয় শাহ ফয়জলকে। তুর্কি যাবার পথে ফয়জলকে দিল্লি বিমানবন্দরে আটক করা হয় এবং জন নিরাপত্তা আইনে সেই থেকে আটক রাখা হয়েছে। ৩৭০ ধারা নিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের তুমুল সমালোচনা করে তাঁর সাক্ষাৎকার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর ফয়জলের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ করা হয়।

Article 370 jammu and kashmir
Advertisment