যে কোন মুহূর্তেই গ্রেফতার হতে পারেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনে ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করেছে পাক প্রশাসন। পাকিস্তানের পুলিশ রবিবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের (এটিএ) অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করেছে।
রাজধানীতে একটি সমাবেশে বিচারক এবং পুলিশের দুই শীর্ষকর্তাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ইসলামাবাদের মারগাল্লা থানায় বিচারক আলী জাভেদের অভিযোগের ভিত্তিতে এটিএ-এর ৭ নং ধারায় এফআইআর করা হয়েছে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
এফআইআরে বলা হয়েছে যে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান অতিরিক্ত দায়রা জজ জেবা চৌধুরী এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়েছেন। "সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা করেছেন"। এফআইআরে আরও বলা হয়েছে, ভয় দেখানোই তাঁর মূল লক্ষ্য ছর। তাছাড়াও পুলিশ আধিকারিক এবং বিচার বিভাগকে তাদের আইনি কাজে বাঁধা দেওয়ারও অভিযোগ আনা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে শনিবার ইসলামাবাদে এক জনসভায় এক বিচারক এবং দুই উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী্র সরকারি আধিকারিকদের হুমকি এবং সমাবেশ থেকে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার কয়েক ঘন্টা পরে, পাকিস্তানের ইলেকট্রনিক মিডিয়া ওয়াচডগ ইমরান খানের লাইভ বক্তৃতা সম্প্রচারে জন্য স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলকে সাময়িক ব্যান করা হয়েছে খবর মিলেছে। সেই সঙ্গে টেলিভিশন চ্যানেলকে সম্পাদনার আগে ইমরান খানের বক্তৃতা লাইভের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ইমরান শনিবার তার বক্তৃতায় বলেছিলেন যে তিনি ইসলামাবাদে পুলিশের ডিজি এবং এডিজির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন এবং যোগ করেছেন, "আমরা আপনাকে রেহাই দেব না।"
আরও পড়ুন: < তালিবানি রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা, গোপন ডেরায় চলছে নারী শিক্ষার বিশেষ পাঠ! >
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রানা সানাউল্লাহ রবিবার দাবি করেছেন যে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতার বক্তৃতা দেশের সামরিক এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করার প্রবণতার ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে চলছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁর ঘনিষ্ঠ শাহবাজ় গিলকে গত সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়। আর সেই ক্ষোভেই মহিলা বিচারক এবং পুলিশের দুই শীর্ষ কর্তাকে তার বক্তৃতায় হুমকি দেন ইমরান খান। আর সেই বক্তৃতা ঘিরেই এখন তোলপাড় পাক রাজনীতি।