সরকারি জায়গা অনির্দিষ্টকাল আটকে প্রতিবাদ নয়, শাহিনবাগ মামলায় জানালো সুপ্রিম কোর্ট

সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাস্তা অবরোধ করা হলে তা মুক্ত করার দায়িত্ব প্রশাসনের। কিন্তু, দুর্ভাগ্য যে এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপের আগে প্রশানের তরফে কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি।

সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাস্তা অবরোধ করা হলে তা মুক্ত করার দায়িত্ব প্রশাসনের। কিন্তু, দুর্ভাগ্য যে এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপের আগে প্রশানের তরফে কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অনির্দিষ্টকাল ধরে সরকারি জায়গা আটকে রেখে প্রতিবাদ দেখানো যাবে না। নির্দিষ্ট স্থানেই প্রতিবাদ প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া উচিত। শাহিন বাগ নিয়ে করা পিটিশন মামলায় প্রেক্ষিতে এ দিন সুপ্রিম কোর্ট তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাস্তা অবরোধ করা হলে তা মুক্ত করার দায়িত্ব প্রশাসনের। কিন্তু, দুর্ভাগ্য যে এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপের আগে প্রশানের তরফে কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি।

Advertisment

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এসকে কৌলের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ দিন শাহিনবাগ পিটিশনের শুনানিতে জানিয়েছেন, 'পাবলিক প্লেস অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা যাবে না। মতপার্থক্য ও গণতন্ত্র হাত ধরাধরি করে এগোবে, কিন্তু প্রতিবাদ-বিক্ষোভ নির্দিষ্ট জায়গাতেই হওয়া উচিত। পাবলিক প্লেস অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন গ্রহণযোগ্য নয়।'

গত বছর ডিসেম্বরে সংসদে পাস হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ। এরপরই দেশজুড়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলন বিক্ষোভ জোরালো হয়। সেই আন্দোলনের ভরকেন্দ্র হয়ে ওঠে দিল্লির শাহিনবাগ। ১৫ ডিসেম্বর থেকে প্রায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে শাহিনবাগে অবস্থান করেন সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীরা।

রাস্তা আটকে থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় মানুষকে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আইনজীবী অমিত সাহনি শাহিনবাগের রাস্তা অবরোধ তোলার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিলেন। সেই পিটিশনের শুনানির প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অনির্দিষ্টকাল ধরে পাবলিক প্লেস আটকে রেখে প্রতিবাদ দেখানো যাবে না।

Advertisment

গত ২১ সেপ্টেম্বর বেঞ্চ শাহিনবাগের রাস্তা অবরোধ সংক্রান্ত রায় সংরক্ষণ করে। যদিও পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল বিক্ষোভ ও মানুষের আধিকারের মধ্যে সামঞ্জস্য হওয়া প্রয়োজন। মানুষের অবরুদ্ধ রাস্তা ব্যবহারের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে বলেছিলেন, প্রতিবাদ দেখানোর অধিকার মৌলিক অধিকার, কিন্তু তা নিয়ন্ত্রিত।

চলতি বছর মার্চের ২৩ তারিখ দিল্লি পুলিশ শাহিনবাগ থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। ১০০ দিনের বেশি সময় ধরে দিল্লির সঙ্গে নয়ডার সংযোগকারী আটকে প্রায় ৩০০ মহিলাকে সামনে রেখে সিএএ প্রতিবাদীরা শাহিনবাগে বিক্ষোভ দেখান। শাহিনবাগ থেকে আন্দোলন সরানোর জন্য দুই প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে, সাধনা রামাচন্দ্রন এবং প্রাক্তন চিফ ইনফরমেশন কমিশনার ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

supreme court Shaheen Bagh