জম্মু-কাশ্মীরে সিআরপিএফ জওয়ানদের বিমান পরিষেবা ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়নি, পুলওয়ামা কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ওঠা এই অভিযোগ রবিবার অস্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, "জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা যাতে ছুটিতে বাড়ি যাওয়া এবং ছুটি থেকে কাজে যোগ দেওয়ার সময় বিমান পরিষেবা পেতে পারেন, গত কয়েক বছরে সরকার সেটা সুনিশ্চিত করেছে।"
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, "জম্মু-কাশ্মীরে কর্মরত জওয়ানদের আসা-যাওয়ার জন্য বিমান-পরিষেবা বেশ কিছুদিন ধরেই চালু রয়েছে। আগে এই সুবিধে ছিল শুধুমাত্র জম্মু-শ্রীনগর-জম্মু সেক্টরের জন্য। আধাসামরিক বাহিনীর অনুরোধে ২০১৭-র ডিসেম্বর থেকে সপ্তাহে সাতটি উড়ানে সেই সুবিধে দেওয়া হয়েছে দিল্লি-জম্মু-শ্রীনগর-জম্মু-দিল্লি সেক্টরের আকাশপথেও।"
আরো পড়ুন: মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা: পথের কাঁটা চিন
বিবৃতি অনুযায়ী, "এ ছাড়াও ভারতীয় বায়ুসেনার সাহায্যও প্রয়োজনমতো নেওয়া হয়ে থাকে জওয়ানদের বিমানযাত্রার জন্য। ২০১৯-এর জানুয়ারিতে একাধিক উড়ানে এই সাহায্য নেওয়া হয়েছিল।" উল্লেখ্য, পুলওয়ামা-কাণ্ডের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং শ্রীনগরে গিয়ে বলেছেন, এবার থেকে সড়কপথে জওয়ানদের যাত্রাকালীন 'রোড ওপেনিং পার্টি'-র (আরওপি) প্রথাসিদ্ধ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছাড়াও অন্যান্য যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
দিনকয়েক আগে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ-এর কনভয়ের উপর বিস্ফোরক-বোঝাই গাড়িতে করে 'সুইসাইড বম্বার'-এর হানায় অন্তত চল্লিশ জন জওয়ানের মর্মান্তিক মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত। ৭৮ টি গাড়ির কনভয়ে জঙ্গি সংগঠন জইশ-এ-মহম্মদের তরফে এই হামলা চালায় আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমেদ দার।