কাশ্মীর উপত্যকায় আজ পর্যন্ত সম্ভবত সবচেয়ে মারাত্মক জঙ্গী হানায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার এই ঘটনায় বিস্ফোরক বোঝাই একটি টাটা স্কর্পিও চালিয়ে সিআরপিএফ-এর বাসে ধাক্কা মারে এক সুইসাইড বম্বার। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গী সংগঠন জইশ-এ-মহম্মদ, এবং জানিয়েছে যে আত্মঘাতী ২০ বছর বয়সী ওই জঙ্গী পুলওয়ামা জেলারই বাসিন্দা।
গোটা দেশ যখন এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র তারকা এবং খেলার দুনিয়ার অনেকেই শহিদদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছেন। এবার এই দলে সামিল হয়েছে আমূল সংস্থা। ১৯৬৪ সালে মুক্তি পাওয়া হিন্দি ছবি 'হকিকত'-এ মহম্মদ রফির গাওয়া অমর সেই গান, 'কর চলে হম ফিদা জান-ও-তন সাথিয়োঁ' গানের কথা সামান্য বদলে, মোমবাতি হাতে আমূল কন্যাকে দিয়ে জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে আমূল।
আক্রান্ত বাসে ছিলেন ৪২ জন জওয়ান, এবং এই বাসটি ছিল ৭৮ টি গাড়ি-বিশিষ্ট একটি কনভয়ের অংশ, যেটি ২,৫৪৭ জন সিআরপিএফ কর্মীকে নিয়ে যাচ্ছিল জম্মু থেকে কাশ্মীর। এই আঘাতের বদলা নেওয়া হবেই, এমন ইঙ্গিতই শোনা গেছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর গলায়। কাশ্মীর জঙ্গি হামলার ঘটনায় “মোক্ষম জবাব” দেওয়া হবে বলে শুক্রবার নাম না করে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দেন নরেন্দ্র মোদী। কাশ্মীরের হামলায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে “বিরাট মূল্য দিতে” হবে বলে সরব হন মোদী। বদলা নেওয়ার জন্য সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলে এদিন জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়ার দাবি উঠছে বিভিন্ন মহলে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, "জঙ্গি সংগঠনগুলি ও তাদের প্রভুরা বড় ভুল করল। এজন্য বিরাট মূল্য দিতে হবে তাদের। দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না, শাস্তি পাবেই।” প্রতিশোধ নেওয়ার প্রসঙ্গে মোদী বলেন, "কড়া জবাব দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে আমরা পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি…।" নাম না করে এদিন পাকিস্তানকে নিশানা করে মোদী বলেন, "এসব করে প্রতিবেশী রাষ্ট্র আমাদের দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে। আমরা সকলে মিলে একজোট হয়ে এর মোকাবিলা করব। কাউকে রেয়াত করা হবে না।” একজোট হওয়ার কথা বলতে গিয়ে মোদী বলেন, "দেশের এই সময়ে আমাদের সকলকে একসঙ্গে মিলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের এখন এর মোকাবিলা করতে হবে।"
Read the full story in English