পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার নেপথ্যে রয়েছে পাকিস্তানই, মঙ্গলবার এ দাবিই করল ভারতীয় সেনা। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে ভারতীয় সেনার তরফে বলা হয়, "জৈশ-এ-মহম্মদকে কাজে লাগিয়ে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।" গোটা ঘটনাই পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে সেনা। পাকিস্তান ও সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই জড়িত বলে অভিযোগ করেছে ভারতীয় সেনা। "জৈশ-এ-মহম্মদ পাক সেনারই সন্তান," একথাও এদিন বলে সেনা।
অন্যদিকে, পুলওয়ামা হামলার ১০০ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে উপত্যকার এক জৈশ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনা। পাশাপাশি, জঙ্গি নাশকতায় কাশ্মীরি যুবকদের কাজে লাগানো হচ্ছে বলে সেনার তরফে এদিন জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন, পুলওয়ামার বলে চালানো হচ্ছে ইরাকের বিস্ফোরণের ভিডিও
উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় নিহত হন কমপক্ষে ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। যে ঘটনায় নাম না করে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেছেন, "যারা এ হামলা চালাল এবং যারা এতে মদত দিয়েছে, তাদের বিরাট মূল্য দিতে হবে। দোষীদের ছাড়া হবে না।" মোদী এও বলেছেন, "প্রতিবেশী রাষ্ট্র আমাদের দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে।"
আরও পড়ুন: পুলওয়ামা হামলার জেরে গুলির লড়াইয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯
সাংবাদিক বৈঠকে সেনার তরফে এদিন কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে কাশ্মীরিদের। সেনার তরফে কনওয়ালজিৎ সিং ধিঁলো বলেন, "কাশ্মীরের সব মায়েদের অনুরোধ করছি, যাঁদের সন্তানরা সন্ত্রাসবাদে যুক্ত, তাদের আপনারা আত্মসমর্পণ করতে বলুন। সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসতে বলুন ওদের। কেউ হাতে অস্ত্র তুলে নিলে আমরা তাকে নিশ্চিহ্ন করব। কাশ্মীরে কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না।"
![]()
অন্যদিকে, পুলওয়ামা হামলার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আতঙ্কে রয়েছেন বহু কাশ্মীরি পড়ুয়া। তাঁদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে সিআরপিএফ। এ প্রসঙ্গে সিআরপিএফের জুলফিকর হাসান বলেন, "১৪৪১১ হেল্পলাইন নম্বরে কাশ্মীরি পড়ুয়াদের সাহায্য করা হচ্ছে। দেশের বহু কাশ্মীরি পড়ুয়াই হেল্পলাইনে ফোন করে সাহায্য চেয়েছেন। যেসব কাশ্মীরি পড়ুয়ারা বাইরে পড়াশোনা করছেন, তাঁদের সুরক্ষার দিকটি দেখবে নিরাপত্তা বাহিনী।"