ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা হয়েছিল বলেই জৈশ এ মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এ বক্তব্য কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের।
চিন মাসুদ আজহারকে তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে আপত্তি তুলে নেওয়ার পর দিনই এক সাংবাদিক সম্মেলনে রবীশ কুমার বলেন, "আমাদের লক্ষ্য ছিল মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা। তিনি বলেন, পুলওয়ামায় যে জঙ্গি হামলায় ৫০ জন সিআরপিএফ জওয়ান মারা গিয়েছিলেন, সে ঘটনা আজহারকে জঙ্গি ঘোষণায় অন্যতম ভূমিকা নিয়েছে।"
আরও পড়ুন, মাসুদ আজহারকে জঙ্গি ঘোষণায় কেন রাজি হল চিন
তিনি বলেন, "এই তকমা নির্দিষ্ট ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটেছে এমন নয়, কিন্তু স্যাংশন কমিটিতে মাসুদ আজহার সন্ত্রাসের বিভিন্ন ঘটনায় যুক্ত বলে যে সব তথ্য প্রমাণ শেয়ার করেছি তার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।"
আজহারকে কালো তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে যে প্রস্তাব রাষ্ট্রসংঘে গৃহীত হয়েছে তাতে কোনও রাজনৈতিক প্রসঙ্গ নেই, এমনকি পুলওয়ামা হামলায় মাসুদের যোগসাজশের কথাও নেই। পাকিস্তান জানিয়েছে তারা এই নিষেধাজ্ঞা দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর করবে।
আজহারকে কালো তালিকাভুক্ত করার যে সিদ্ধান্ত, তাতে পুলওয়ামা হামলার কথা না থাকার প্রসঙ্গে রবীশ কুমার বলেছেন, "পাকিস্তান কূটনৈতিক স্তরে যে ধাক্কা খেয়েছে তা থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টায় কেউ কেউ নেমে পড়েছে। তারা এ সিদ্ধান্তকে স্বাগতও জানাতে পারছে না, সমালোচনাও করতে পারছে না। তাদের একমাত্র উপায় এখন ছিদ্রান্বেষণ।"
আজহারকে তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে চিনকে ভারত কোনও আশ্বাস দিয়েছে কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রবীশ কুমার বলেন, "জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত বিষয় নিয়ে আমরা বোঝাপড়ার রাস্তায় যাই না।"
বিদেশমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, মাসুদ আজহারকে তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে চিনের সমর্থন দু দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।
ভারতে নির্বাচন চলাকালীন বুধবার রাষ্ট্রসংঘ জৈশ এ মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ ঘটনা কূটনৈতিক স্তরে ভারতের বড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে চিন যে আপত্তি তুলেছিল এদিন তা তারা প্রত্যাহার করে নেয়। দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স পর্দার পিছনে যে বোঝাপড়া চালিয়ে আসছিল এ ঘটনা তারই ফলাফল বলে মনে করা হচ্ছে।
Read the Story in English