Advertisment

ঘৃণা মন্তব্য, এবার পুনে পুলিশের হাতে গ্রেফতার গুরু কালীচরণ! IPC-র ধারায় মামলা রুজু

Hate Speech: এর আগে মহাত্মা গান্ধির বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করে জেলে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ছত্তিশগড় পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Kalicharan Maharaj, Hate Speech

হিন্দু ধর্মগুরু কালীচরণ মহারাজ গ্রেফতার।

Hate Speech: ঘৃণা মন্তব্যে এবার পুনে পুলিশের হাতে গ্রেফতার গুরু কালীচরণ মহারাজ। রায়পুর থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুনে পুলিশ। ডিসেম্বরের ১৯ তারিখ পুনের এক অনুষ্ঠান থেকে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। সমস্ত হিন্দুত্ব অঘরি সেই অনুষ্ঠানের আয়োজক। ২৮ ডিসেম্বর গুরুর বিরুদ্ধে পুনে জেলায় খরক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অনুষ্ঠানের এক ভাইরাল ভিডিও ক্লিপ দেখিয়েই গুরুর বিরুদ্ধে ঘৃণা মন্তব্যের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।  

Advertisment

জানা গিয়েছে শুধু গুরু কালীচরণ মহারাজ নয়, একই অভিযোগে একাধিক হিন্দুত্ববাদী নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুনে পুলিশ। দেওয়া হয়েছে আইপিসির একাধিক ধারা। মিলিন্দ একবোতে, নন্দকিশোর একবোতে, মোহনরাও শেটে, দীপক নাগপুরে এবং ক্যাপ্টেন দীগেন্দ্র কুমারের। ক্যাপ্টেন দীগেন্দ্র কুমার ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য এবং কার্গিল যুদ্ধের সেনানী।

১৯৯৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে মহাবীর চক্র প্রদান করেছিল। পুনের অনুষ্ঠানের অন্যতম বক্তা ছিলেন প্রাক্তন এই সেনাকর্মী। জানা গিয়েছে, মুসলিম এবং খ্রিশ্চানদের উদ্দেশ্য করে সেই ঘৃণা ছড়ানো হয়েছিল।

এদিকে, মহারাষ্ট্রের আকোলা জেলার অভিজিৎ সরগ এবং গুরু কালীচরণ মহারাজ। এর আগে মহাত্মা গান্ধির বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করে জেলে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ছত্তিশগড় পুলিশ। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পান কালীচরণ মহারাজ।  

পাশাপাশি প্রত্যেক মানুষের তাঁর বিশ্বাস পালনের অধিকার রয়েছে। কিন্তু ঘৃণাপূর্ণ বক্তব্য দেশের সংস্কৃতি, সংবিধানের পরিপন্থী। সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে এই বার্তা দিলেন উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। কেরলের কোট্টায়ামের এক অনুষ্ঠানে এক অনুষ্ঠানে সোমবার উপস্থিত ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘ঘৃণাপূর্ণ মন্তব্য কিংবা লেখা দেশের সংস্কৃতি, সভ্যতা, সংবিধানের পরিপন্থী। এই দেশে আপনাদের নিজস্ব বিশ্বাস পালনের অধিকার রয়েছে। আপনারা নিজেদের ধর্ম পালন করুন, কিন্তু ঘৃণাপূর্ণ মন্তব্য বা লেখায় ইন্ধন দেবেন না।‘

তাঁর মন্তব্য, ‘যত্ন এবং বিতরণ, ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি। আমরা বসুদৈবা কুটুম্বকম আদর্শে বিশ্বাসী। অর্থাৎ গোটা বিশ্ব একটা পরিবার। প্রাচীন যুগ থেকেই ভারত এই আদর্শে  বিশ্বাস করে এসেছে।‘  

অপরদিকে, মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হিন্দুদের অস্ত্র তুলে নিতে হবে। হরিদ্বারে আয়োজিত ‘ধর্ম সংসদে’ উপস্থিত প্রতিনিধিদের প্রতি এই আবেদন করা হল। ডিসেম্বরের ১৭-১৯ পুন্যভূমি হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই রুদ্ধদ্বার সংসদ। সম্প্রতি সংসদের ভিতরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, উপস্থিত প্রতিনিধিদের এভাবে সংকল্প নিতে। জানা গিয়েছে, বিতর্কিত ধর্মগুরু যতি নরসিংহনন্দ এই সংসদের মূল আয়োজক। এর আগেও একাধিকবার উস্কানিমূলক মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়ান তিনি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Pune Police Hate Speech Kalicharan Maharaj
Advertisment