মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর এনসিবি হেফাজতে শাহরুখ-পুত্র আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি তুলে বিপাকে কিরণ গোসাভি। স্বঘোষিত প্রাইভেট গোয়েন্দার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করল পুণে পুলিশ। গত ২ অক্টোবর আরিয়ানকে আটক করার পর জেরা করার জন্য এনসিবি দফতরে আনা হয়। তখনই গোসাভি আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তা নিয়ে চরম বিতর্ক হয়।
বৃহস্পতিবার পুণে পুলিশ কমিশনার অমিতাভ গুপ্তা এই খবর নিশ্চিত করেছেন যে, কিরণ গোসাভির বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি হয়েছে। গোসাভি দেশ ছেড়ে পালাতে পারে, তাই তাঁর বিরুদ্ধে নোটিস জারি করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, এনসিপি মুখপাত্র তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক তদাবি করেন, গোসাভি এবং মণীশ ভানুশালি নামে এক যুব মোর্চা নেতাকে এনসিবি আধিকারিকদের সঙ্গে মাদক হানার দিন দেখা যায়।
যদিও এনসিবি-র দাবি, গোসাভি একমাত্র স্বতন্ত্র সাক্ষী ওই দিনের প্রমোদতরী কাণ্ডে। সেদিন কর্ডেলিয়া ক্রুস শিপে ছিলেন গোসাভি। মাদক নিতে দেখেছেন তিনি। পরে জানা যায়, ২০১৮ সালের একটি প্রতারণা মামলায় মূল অভিযুক্ত গোসাভিকে খুঁজছে পুণে পুলিশ। আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ।
পুণের কসবা পেঠ এলাকার বাসিন্দা চিন্ময় দেশমুখ প্রতারণা মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ মে ফরসখানা থানায় এফআইআর দায়ের করেন। এফআইআর অনুযায়ী, গোসাভি হোটেল ম্যানেজমেন্টের চাকরির নাম বিজ্ঞাপন দিয় দেশমুখের সঙ্গে প্রতারণা করেন বলে অভিযোগ। মালয়েশিয়ায় চাকরি দেওয়ার নামে দেশমুখের থেকে নিজের অ্যাকাউন্টে ৩.০৯ লক্ষ টাকা নেন গোসাভি।
আরও পড়ুন রীতিমতো মাদকাসক্ত আরিয়ান খান! আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করল NCB
কিন্তু আদতে দেশমুখকে কোনও চাকরি দেননি গোসাভি। এমনকী টাকাও ফেরত দেননি প্রাইভেট গোয়েন্দা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ এবং ৪২০ ধারায় জালিয়াতির মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এছাড়াও মুম্বইয়ের আন্ধেরি থানায় ২০০৭ সালে একটি এবং থানের কাপুরবাউড়ি থানায় ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে দুটি প্রতারণা মামলা দায়ের রয়েছে গোসাভির বিরুদ্ধে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন