না, বামন হয়ে চাঁদ ধরার কথা ভাবেননি। এ যেন চাঁদ স্বয়ং এসে ধরা দিল। খরচ হয়েছিল সাকুল্যে ২০০ টাকা। তার বদলে পেলেন ২ কোটি। ভাবতেও পারেননি পাঞ্জাবের পুলিশ কনস্টেবল অশোক কুমার। লহরী বাম্পার লটারিতে প্রথম পুরস্কার পেলেন তিনি।
হোশিয়ারপুর জেলার সর্দার থানায় আপাতত কনস্টেবল হিসেবে রয়েছেন বছর ২৯-এর অশোক। স্নাতক পাশ করে ২০১০ সালে চাকরিতে ঢুকেছিলেন। জানুয়ারির ১৬ তারিখ লটারি বিক্রেতার থেকেই পুরস্কার জেতার খবর পেয়েছিলেন অশোক। গত শনিবার সরকারি এক গেজেটেও প্রকাশিত হয় লটারি পাওয়ার খবর।
অশোকের কথায়, "১৬ তারিখ লটারি বিক্রেতার কাছ থেকে খবর পেয়েও আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে আমি কাউকে কিছু জানাইনি। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছিনা, আমিই বিজেতা। আমার মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের একজনের কাছে টাকার অংকটা বিশাল"।
আরও পড়ুন, তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিবিআই আধিকারিক নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত, দাবি বিজয় মালিয়ার
লটারির টিকিট কেনা অনেকের রীতিমতো নেশা থাকে, অশোকের কিন্তু তেমনটা নয়। "থানায় এক লটারি বিক্রেতা এসে আমায় জোর করেই ২০০ টাকা দিয়ে একটা টিকিট কিনিয়েছিল। গত বছর দীপাবলির সময় আমি প্রথম লটারির টিকিট কেটেছিলাম, এটা ছিল আমার দ্বিতীয় বার", জানালেন অশোক কুমার।
২ কোটি টাকা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, জিগ্যেস করায় কাঠ ব্যবসায়ীর ছেলে অশোক জানিয়েছেন, টাকা জমাবেন তিনি। বহু পরিশ্রম করে পাওয়া সরকারি চাকরি যেমন করছিলেন, তাই করবেন। পুরস্কারের টাকা ব্যাঙ্কে জমিয়ে রাখতে চান। পুরস্কার মূল্যের ৩০ শতাংশ কর বাবদ কেটে নেওয়া হবে অশোকের কাছ থেকে। বাকিটা তিনি পুরোটাই পাবেন।
Read the full story in English