ধর্মীয় অবমাননা করলেই যাবজ্জীবন, বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন চায় পাঞ্জাব সরকার

ভোটের মুখে ধর্মীয় 'বেয়াদবি' নিয়ে উত্তপ্ত পাঞ্জাব।

ভোটের মুখে ধর্মীয় 'বেয়াদবি' নিয়ে উত্তপ্ত পাঞ্জাব।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Youth beaten to death after alleged sacrilege bid at Amritsar Golden Temple

বিতর্কের কেন্দ্রে স্বর্ণ মন্দির

শনিবারের পর রবিবার, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঞ্জাবের দুই জায়গায় ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে দুজনকে খুন করা হয়েছে। ভোটের মুখে ধর্মীয় 'বেয়াদবি' নিয়ে উত্তপ্ত পাঞ্জাব। এই পরিস্থিতিতে ধর্মনিন্দা সংক্রান্ত রাজ্যের দুটি বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করলেন উপমুখ্যমন্ত্রী সুখজিন্দর সিং রানধাওয়া।

Advertisment

২০১৮ সালে পাঞ্জাব বিধানসভায় কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর বিল এবং দ্য ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বিল পাশ হয়। রাজ্যপাল বিলে সম্মতি দিয়েছেন। এখন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বিল দুটি। বিল দুটিতে অনুমোদন দিলে ধর্মনিন্দার সর্বোচ্চ সাজা হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

বিল দুটিতে বলা হয়েছে, কেউ ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার জন্য গুরু গ্রন্থ সাহিব, ভগবৎ গীতা, কোরান বা বাইবেলের অবমাননা বা নিন্দা করে তাহলে তাকে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে। সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন রানধাওয়া। তাঁর দাবি, ধর্মীয় অবমাননা পাঞ্জাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দোষীদের কঠোর সাজার জন্য বিল দুটি দ্রুত অনুমোদন করানোর আবেদন করেন তিনি।

রানধাওয়া চিঠিতে লিখেছেন, "পাঞ্জাব সীমান্তবর্তী রাজ্য। এই রাজ্যে সাম্প্রদায়িত সম্প্রীতি রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ধর্মীয় অবমাননাকারীদের কঠোর শাস্তি প্রয়োজন। আমি আবেদন জানাচ্ছি, পাঞ্জাব বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল দুটি রাষ্ট্রপতি যেন দ্রুত অনুমোদন দেন।"

Advertisment

উল্লেখ্য, শিখরা পবিত্র গুরু গ্রন্থ সাহিবকে জীবন্ত গুরু হিসাবে দেখেন। তাঁদের মর্যাদা জড়িয়ে রয়েছে এই ধর্মগ্রন্থের সঙ্গে। এর অবমাননা তাঁরা কোনওমতেই মেনে নিতে পারবেন না। শনিবার এই ভাবেই শ্রী হরমন্দির সাহিবে এক যুবক গুরু গ্রন্থ সাহিবের অপমানের অভিযোগে তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলে উন্মত্ত জনতা।

আরও পড়ুন AFSPA প্রত্যাহারের দাবিতে নাগাল্যান্ড বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ, চাপ বাড়ল কেন্দ্রের

২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাপুরথালায় একটি গুরদ্বারাতে পবিত্র নিশান সাহিবের অবমাননার অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে তার পর তলোয়ারের কোপে মেরে ফেলা হয়। প্রথম ঘটনায় নিহত যুবকের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু কাপুরথালার ঘটনায় দুদিন পরেও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Ram Nath Kovind sacrilege Punjab