Advertisment

'কর্তারপুরে সকালে কেউ গেলে বিকেলে সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি হয়ে ফিরবে', বিস্ফোরক পুলিশপ্রধান

শিখ ধর্ম প্রতিষ্ঠাতার ৫৫০ তম জন্মবার্ষিকীর আগে ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর বহু প্রতীক্ষীত কর্তারপুর করের সূচনা হয়। এর মাধ্যমেই দরবার সাহিব গুরুদ্বারে যাওয়া যায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Punjab Police chief, Dinkar Gupta

বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পাঞ্জাব পুলিশ প্রধান দিনকর গুপ্ত। এক্সপ্রেস ফোটো- জয়পাল সিং

কর্তারপুরে যাওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের পাসপোর্ট ছাড় ঘিরে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পাঞ্জাব পুলিশ প্রধান দিনকর গুপ্ত। শুক্রবার তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে এটা আমাদের জন্য একটা বিশাল সুরক্ষার চ্যালেঞ্জ। এতবছর এই করিডরটি না খোলার কারণও রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাঞ্জাবের পুলিশ প্রধান বলেন, "কর্তারপুরে এমন সম্ভাবনা রয়েছে যে সেখানে যদি আপনি সকালে কাউকে পাঠান, তাহলে সন্ধ্যেবেলাতে দেখবেন সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি হিসেবে ফিরে এসেছেন। আপনি যদি সেখানে ছয় ঘন্টা থাকেন, তাহলেই আপনাকে ফায়ারিং রেঞ্জেও নিয়ে যাওয়া হবে, আবার কীভাবে আইডি বানানো হবে তাও শিখিয়ে দেওয়া হবে।"

Advertisment

আরও পড়ুন: কর্তারপুর যেতে পাসপোর্ট লাগবে না, পাক সিদ্ধান্তে হতবাক নয়াদিল্লি

উল্লেখ্য, শিখ ধর্ম প্রতিষ্ঠাতার ৫৫০ তম জন্মবার্ষিকীর তিন দিন আগে ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর বহু প্রতীক্ষীত কর্তারপুর করের সূচনা হয়। এই করিডরের মাধ্যমেই পাকিস্তানের নারোয়াল প্রদেশে অবস্থিত দরবার সাহিব গুরুদ্বারে যাওয়া যায়। বিশ্বাস যে, গুরু নানক তাঁর জীবনের শেষ ১৮ বছর এই স্থানেই অতিবাহিত করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতীয় পক্ষের এই করিডোরের অংশটি উদ্বোধন করেছিলে। অন্যদিকে ইমরান খান পাকিস্তানের পক্ষে অংশটি উদ্বোধন করেছিলেন।

আরও পড়ুন:  বিশ্লেষণ: শিখ ধর্মে কর্তারপুরের গুরুত্ব

ডিজিপি দিনকর গুপ্ত বলেন, "এটি একটি বিরাট উদ্বেগের বিষয়। এই কারণেই এত বছর ধরে এটি খোলা হয়নি। আমি আট বছরের জন্য গোয়েন্দা ব্যুরোতে ছিলাম। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম যে এটা সুরক্ষার জন্য বিশাল একটি চ্যালেঞ্জের জায়গা হবে। কিন্তু সম্প্রদায়টি যেমন চেয়েছিল পরবর্তীতে সেটাই হল। সমস্ত রকম সুরক্ষাকে আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।" প্রসঙ্গত কর্তারপুর করিডোর নিয়ে সম্প্রতি দিল্লিতে একটি বৈঠকও হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন পাঞ্জাবের পুলিশ প্রধান। শুক্রবার তিনি বলেন, "কর্তারপুর করিডরে যারা যাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে মৌলবাদ ঢোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁদেরকে অনুনয়-বিনয় করা হচ্ছে। সে যে ফোন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আমরা সেগুলি নিয়েও চিন্তিত। এখন সেখানে লোকসংখ্যা আরও বেড়েছে। যা উদ্বেগের প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে।"

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

pakistan India
Advertisment