কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে পাঞ্জাব। 'রেল রোকো' আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন একাধিক কৃষক। কিন্তু বুধবার রেলের তরফে ক্ষতির খতিয়ান প্রকাশ করতেই নড়েচড়ে বসেছেন প্রতিবাদকারীরা। বুধবার রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় পাঞ্জাবের রেল রোকো প্রতিবাদের কারণে এর আনুমানিক ক্ষতি প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এরপরই কৃষক সংগঠনগুলি বিক্ষোভ তুলে নিয়ে স্টেশন চত্বর ছাড়তে রাজি হয়।
বুধবার কৃষকরা বলেছিলেন যে তাঁরা কেন্দ্রের চাপের কাছে মাথা নত করবেন না এবং বিক্ষোভ পুরোপুরি শেষ করবেন না। সম্প্রতি এই প্রতিবাদের জেরে অমরিন্দর সিংয়ের রাজ্যে বন্ধ হয়েছিল পণ্যবাহী রেল পরিষেবা। এদিকে, যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেওয়ার জন্য পাঞ্জাব মন্ত্রিসভায় কমিটির আবেদনের কথা স্বীকার করতে অস্বীকার করে কৃষক নেতারা বলেছেন যে তারা রাজ্যে কেবল পণ্য ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেবে, যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের নয়।
আরও পড়ুন, ‘দেশ থেকে তাড়ানোর ক্ষমতা কারও নেই’, সিএএ ‘গুজবে’ সোচ্চার নীতীশ
চণ্ডীগড়ের কৃষ্ণ ভবনে সব কৃষক সংস্থার একটি বৈঠকের পর কৃষক নেতা জগমোহন সিং বলেন, "আমরা প্ল্যাটফর্মগুলি ছেড়ে যেতে রাজি হয়েছি। তবে আমরা আমাদের ধর্না তুলব না। আমরা স্টেশনগুলি থেকে কিছুটা দূরে আন্দোলন করব। শিথিলতা দেওয়া হয়েছে কেবল পণ্যবাহী ট্রেনের জন্য। আমরা যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলে অনুমতি দেব না।"
কৃষকদের সংগঠন বিকিউ (উগ্রাহান) এর সাধারণ সম্পাদক সুখদেব সিং কোকরিকালান বলেন, “রেলওয়ে একটি ভুল চিত্র পেশ করছে। আমাদের ইউনিয়ন দুটি জায়গার রেল ট্র্যাকে বসে আছে। তবে, এই ট্র্যাকগুলি কেবলমাত্র থার্মাল প্ল্যান্ট দ্বারা ব্যবহৃত হয়। মূল লাইনগুলি খোলাই আছে।”
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন