বাবা-মা'কে না জানিয়ে বাড়ি থেকে একদিনের জন্য নিখোঁজ হন বছর ১৬-এর এক কিশোরী। এই অপরাধে এক ব্যক্তি তার ১৬ বছরের কিশোরী মেয়েকে হত্যা করে তার দেহ মোটরসাইকেলে বেঁধে গ্রামের মধ্যে দিয়ে টেনে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। মেয়েটি তার বাবা-মাকে না জানিয়ে একদিনের জন্য বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন যার কারণেই মেয়েকে খুন করেন বাবা। অভিযুক্ত ব্যক্তি খুনের পর মেয়ের দেহ লেভেল ক্রসিংয়ের ধারে ফেলে পালিয়ে যান বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার নারকীয় হত্যার সাক্ষী থাকল দেশ। বাবার হাতে খুন বছর ১৬-এর এক কিশোরী। খুনের পর মেয়ের দেহ তার মোটরসাইকেলের সঙ্গে বেঁধে গ্রামের রাস্তা দিয়ে টেনে নিয়ে গিয়ে লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। মেয়েটি তার বাবা-মাকে না জানিয়ে একদিনের জন্য বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় সেই রাগেই মেয়েকে খুন করেন বাবা বলে জানতে পারে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তি পেশায় একজন শ্রমিক। তিনি তার মেয়ের দেহ বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে একটি লেভেলক্রসিংয়ের কাছে নিয়ে যান এবং সেখানে মেয়ের দেহ ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসেন। অভিযুক্ত এখনও পলাতক এবং তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই একটি খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে এক সিনিয়র পুলিশ কর্তা বলেন, 'অভিযুক্ত তার পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে বন্দী করে রাখেন এবং তাদেরও হত্যার হুমকি দেয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্তের বাবা জানান, 'বুধবার তার নাতনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। 'আমরা তার খোঁজ করেছি কিন্তু তাকে পাইনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে সে ফিরে আসলে তার বাবা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ বিষয়ে মেয়ে কিছুই জানাতে চাইনি'।
এফআইআর অনুসারে, মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পরপর কোপ বসান অভিযুক্ত বাবা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির চার মেয়ে সহ পাঁচ সন্তান রয়েছে। নিহত মেয়েটি তার তৃতীয় সন্তান। পুলিশ ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার করেছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। গ্রামের এক ব্যক্তি দাবি করেছেন যে 'অভিযুক্ত তার মেজাজ হারিয়ে ফেলেই এমন ঘটনা ঘটান'। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে প্রায়ই ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করতেন। মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তিনি। পাঞ্জাবের অমৃতসর জেলার এই ঘটনা দেশজুড়ে তোলপাড় ফেলেছে ।