Punjab: নিরাপত্তার কারণে মাঝপথ থেকেই দিল্লি ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী। পঞ্জাবের ফিরোজপুর সভায় যাওয়ার পথে ১৫-২০ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিল তাঁর কনভয়। এই নিয়ে পঞ্জাব রাজনীতিতে চর্চা তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী চান্নির পদত্যাগের দাবিতে সরব বিজেপি। পাশাপাশি সভায় লোক না থাকায় ঘুরপথে সভা বাতিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অছিলা দেখানো হয়েছে নিরাপত্তায় গলদ। এভাবে সরব হয়েছে কংগ্রেস। এবার এই ঘটনার তদন্তে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পঞ্জাব সরকার।
তিন দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে। এমনটাই সূত্রের খবর। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মেহতাব গিল এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি অনুরাগ বর্মা এই কমিটির সদস্য। ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পঞ্জাব সরকারের থেকে এই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে।
এদিকে, কৃষক সংগঠনের বিক্ষোভ। তার জেরেই ভাতিন্ডা বিমানবন্দর থেকে ফিরোজপুর যাওয়ার পথে প্রায় মিনিট পনের একটি ফ্লাইওভারে আটকে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যার জেরে সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে ভাতিণ্ডা ফিরে যান মোদী। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয়ের নিরাপত্তায় বড়সড় খামতি দেখা দিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি সহ সড়ক পথে যাওয়ার বিষয়টি অনেক আগেই পাঞ্জাব সরকারকে জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস সরকার নিরাপত্তার উপযুক্ত ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ। তবে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চিরঞ্জিৎ সিং চান্নি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার খামতির কথা নস্যাৎ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘নিরাপত্তার কোনও ত্রুটি হয়নি। তার সমাবেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকি করতে আমি গভীর রাতে জেগে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রীরসড়ক পথে যাওয়ার পরিকল্পনা শেষ মুহূর্তে হয়, তার আগে হেলিকপ্টারে যাওয়ার কথা ছিল।’
উল্লখ্য, প্রথমে ঠিক ছিল তিনি ভাতিণ্ডা বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে ওয়্যার মেমোরিয়ালে যাবেন। কিন্তু বৃষ্টির জন্য কপ্টার ওড়া সম্ভব হয়নি। তাই তিনি প্রায় দু’ঘন্টার রাস্তা সড়কপথেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো নিরাপত্তার বন্দোবস্তও করতে বলা হয়েছিল পাঞ্জাব সরকারকে। কিন্তু ফিরোজপুর যাওয়ার পথে মাঝে কৃষকদের বিক্ষোভে মোদীর যাত্রা আটকে যায়। যা নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন