Advertisment

গুরুদ্বার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ধুন্ধুমার! পুলিশকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি, মৃত ১, আহত কমপক্ষে ৬

গত কয়েকদিন ধরে সুলতানপুর লোধিতে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Senior Police official visited the spot at Sultanpur Lodhi where a cop was killed in a firing by Nihangs

ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা সুলতানপুর লোধিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন যেখানে নিহঙ্গদের গুলিতে একজন পুলিশ নিহত হয়েছে। (এক্সপ্রেস ছবি)

পাঞ্জাবের গুরুদ্বারে নিহঙ্গ শিখদের গুলি। নিহত এক পুলিশকর্মী। ৬ জন গুরুতর আহত। ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এখনও গুরুদ্বারের ভিতর ৩০-৩৫ জন নিহঙ্গ শিখ রয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।

Advertisment

বৃহস্পতিবার সকালে পাঞ্জাবের কাপুরথালার একটি গুরুদুয়ারায় পুলিশ ও নিহঙ্গ শিখদের মধ্যে ব্যাপক গুলিবর্ষণ হয়। এই ঘটনায় পাঞ্জাব পুলিশের এক হোম গার্ড জসপাল সিং গুলিতে প্রাণ হারান। পাশাপাশি ডিএসপি ভুলাথসহ কমপক্ষে ৬  পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।

গুরুদ্বারে গোলাগুলি। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ নিহঙ্গ শিখদের। বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্জাবের কাপুরথালায় একটি গুরুদ্বারে পুলিশের সঙ্গে নিহঙ্গ শিখদের সংঘর্ষ হয়। নিহঙ্গ শিখরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিতে এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে, আহত কমপক্ষে ৬ জন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন সুলতানপুর লোধির ডিএসপি ভুলথ ভারত ভূষণ সাইনি, এএসআই সুখদেব সিং, কনস্টেবল বুবলপ্রীত সিং, এএসআই অশোক কুমার, এএসআই গুরমিত সিং, সুরিন্দর সিং, আমনদীপ সিং, হরভজন সিং, রমনদীপ সিং এবং হরজিন্দর সিং।

কাঁদানে গ্যাসের শেল ছেড়ে দেওয়া হয়

এর আগে পরিস্থিতির অবনতি হলে পুলিশও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ডিসি কাপুরথালা ক্যাপ্টেন কর্নেল সিং, আইজি জলন্ধর রেঞ্জ এস. ভূপতি সহ শীর্ষ আধিকারিকরা সুলতানপুর লোধিতে পৌঁছেছেন।  বুধবার থেকে পুলিশ জলকামান নিয়ে গুরুদ্বার সাহেবে ঢোকার চেষ্টা করছিল।

অভিযোগ, গুরুদুয়ারা দখলের চেষ্টা করছিল নিহঙ্গ শিখরা। তাতেই বাঁধা দেয় পুলিশ। বুধবার সুলতানপুর লোধি পুলিশ এই ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছিল। এর মধ্যে ২০২০ সালে অনুরূপ সংঘর্ষে দায়ের করা হত্যা মামলার ওয়ান্টেড আসামিও রয়েছে। এর আগে মঙ্গলবারও সংঘর্ষ হয়েছিল যার জন্য সুলতানপুর লোধি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। উল্লেখ্য ২০২০ সালের শুরুতে, নিহঙ্গ বিক্ষোভকারীরা পাতিয়ালায় এক পুলিশ আধিকারিকের হাত কেটে ফেলেছিল, যখন তিনি করোনার সময় লকডাউন  আরোপের চেষ্টা করেছিলেন।

কাপুরথালার পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) তেজবীর সিং হুন্দাল পিটিআইকে বলেছেন যে পুলিশ কর্মীরা যখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল তখন নিহঙ্গরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। একই সময়ে, দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন অনুসারে, একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার বলেছেন যে এই ঘটনাটি ঘটেছিল যখন পুলিশ কর্মীরা সুলতানপুর লোধিতে কিছু নিহঙ্গকে (প্রথাগত অস্ত্রে সজ্জিত শিখ) তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিপ্তে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই গুরুদ্বারটি আগে বাবা বলবীর সিংয়ের দখলে ছিল। এর পরে, ২১ নভেম্বর বিরোধী দল মান সিং গুরুদ্বারের কর্মচারীদের নির্মমভাবে লাঞ্ছিত করে এবং গুরুদ্বারের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

Punjab
Advertisment