ছবি প্রকাশ, ছাতায় মুখ ঢাকা ব্যক্তিকে অমৃতপাল বলে দাবি পঞ্জাব পুলিশের

হাইকোর্টের বকা খাওয়ার পর পঞ্জাব পুলিশের কর্তাদের দাবি, শেষবার অমৃতপালকে দেখা গিয়েছে কুরুক্ষেত্রে।

Amritpal Singh

পঞ্জাবের খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংকে শেষবার হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে। এমনটাই দাবি পঞ্জাব পুলিশ। নিজেদের দাবির সমর্থনে পঞ্জাব পুলিশ একটি সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ করেছে। সেই ফুটেজে ছাতা মাথায় এক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, তাঁর মুখ দেখা যায়নি। ফুটেজ দেখা গিয়েছে পিছন থেকে। ওই ব্যক্তির পরনে ছিল প্যান্ট-জামা।

‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ সংগঠনের প্রধান অমৃতপাল। সম্প্রতি পঞ্জাবকে অশান্ত করে তোলার পিছনে এই যুবকের বড় ভূমিকা রয়েছে বলেই মনে করছে পঞ্জাব পুলিশ। তার সংগঠনের মাধ্যমে গোটা পঞ্জাবে স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবি ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছিল অভিযুক্ত। ইতিমধ্যে তার বেশ কয়েকজন সহযোগীকে গ্রেফতার ও আটক করা হয়েছে। এমনকী, যারা তাকে পালাতে সাহায্য করেছে, তাদেরকেও গ্রেফতার করেছে পঞ্জাব পুলিশ। কিন্তু, এখনও অবধি অমৃতপালকে গ্রেফতার করা যায়নি।

তা-ও প্রায় ছয় দিন ধরে ফেরার এই অভিযুক্ত। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএ তাকে পলাতক ঘোষণা করেছে। অমৃতপালকে গ্রেফতার করতে না-পারার অভিযোগে পঞ্জাব পুলিশকে হাইকোর্টের কাছ থেকে কড়া কথা শুনতে হয়েছে। পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দারা ব্যর্থ, এমনটা সোজাসুজি জানিয়ে দিয়েছে আদালত। তার মধ্যেই পঞ্জাব পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজটি প্রকাশ করল।

আরও পড়ুন- মমতা-নবীন বৈঠক ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে, বিশেষ মুখ খুলতে নারাজ কেউই

এই ব্যাপারে পঞ্জাব পুলিশের আইজি (সদর) সুখচাইন সিং গিল জানিয়েছেন, অমৃতপাল ভিনরাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র জেলার শাহবাদ-মার্কান্দা এলাকায় তাকে শেষবার দেখা গিয়েছে। সুখচাইন জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে অমৃতপাল যে মহিলার সঙ্গে রাত্রিবাস করেছিলেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে অবশ্য সুখচাইন স্বীকার করে নিয়েছেন, ‘অমৃতপাল এখন ঠিক কোথায় পৌঁছেছেন, এখনই আমরা বলতে পারছি না। আমরা সমস্ত কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছি।’

Stay updated with the latest news headlines and all the latest General news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Punjab police says that amritpal last spotted in kurukshetra

Next Story
ফের ঘুম কাড়তে কোমর বাঁধছে করোনা? গত ১৪০ দিনে দেশে সর্বোচ্চ সংক্রমণ
Exit mobile version